রাজ্য–রাজনীতিতে এখন হঠাৎ তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপ🐼া পোদ্দার। শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করা থেকে ꦏশুরু করে দণ্ডিকাটা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। এবার নারদ মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর সরাসরি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তিনি। এই রাজ্যে ইডি–সিবিআই যখন বাড়তি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে তখন এমন মামলা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? আজ, মঙ্গলবার নারদ মামলার এফআইআর থেকে নাম বাদ ও রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। সাংসদের এই মামলಌা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার। সিবিআই নানা মামলার দায়িত্ব পেলেও তদন্ত শেষ করে উপযুক্ত প্রমাণ আদালতে তুলে দিতে পারছে না বলেই অভিযোগ। নারদ মামলা তার অন্যতম। যার তদন্তই শেষ করতে পারেনি সিবিআই। তাই আজ সরাসরি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই আদালতে হলফনামা জমা দিলেন অপরূপা।
আর কী জানা যাচ্ছে? নারদ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলে সিবিআই দাবি করে🐟ছিল। ২০১৪ সালে নারদ কাণ্ডের স্টিং অপারেশন করেছিলেন ম্যাথিউ🐭স স্যামুয়েল। সেখানের ভিডিয়ো–তে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা– নেত্রীর টাকা নেওয়ার ছবি ফুটে ওঠে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর কালের গতিতে সময় কেটে গেলেও তদন্ত শেষ হয়নি। তাই সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর থেকে নাম বাদ দেওয়ার দাবি করেন অপরূপা পোদ্দার।
ঠিক কী অভিযোগ সাংসদের? এই নারদ মামলা নিয়ে সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের অভিযোগ, সিবিআই এখনও তদন্ত শেষ করতেই পারেনি। আর এটা 🐷নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা হচ্ছে। তাই এবার এফআইআর থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়া এবং রক্ষাকবচের আবেদন করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আবেদন করেছেন অপরূপা পোদ্দার। ইতিমধ্যেই কয়েকজন মারা গিয়েছেন, যাঁদের নাম এফআইআর–এ ছিল। কিন্তু তারপরও তদন্ত শেষ হয়নি। তাই এই দাবি নিয়ে আবেদন করা হয়েছে।