পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন জানিয়েও ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের অধীনে পুনর্নবীকরণের জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন পায়নি মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। এর জেরে সংশয় দেখা দিয়েছিল মাদারের সংস্থাকে ঘিরে। এর জেরে ডিসেম্বরেই সংস্থার পক্ষ থেকে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল ব্যাঙ্কের কাছে। তবে দীর্ঘ বিতর্কের পর ফের একবার ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতাভুক্ত সংস্থাগুলির তালিকায় জায়গা পেল মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ। আর মাদারের সংস্থা এই তালিকায় ফিরতেই কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা মারতে ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতাভুক্ত সংস্থাগুলির তালিকার একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে টুইটারে ডেরেক লেখেন, ‘মাদার টেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির জন্য এফসিআরএ নিবন্ধন ফিরে এসেছে৷ 'প্রতিকূল শক্তি' অনেককে হয়রানি করেছে এবং তারপর দুই সপ্তাহের মধ্যেই তারা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। ভালোবাসার শক্তি ৫৬ ইঞ্চি শক্তির চেয়ে অনেক শক্তিশালী।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব মিলিয়ে মোট ১২ হাজার ৯৮৯টি সংস্থা তাদের এফসিআরএ লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন পাঠায়৷ তার মধ্যে ১৭৯টি সংস্থার আবেদন পত্রপাঠ বাতিল করা হয়৷ বাকিদের আবেদন খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ এই আবহেই ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেদিনই এই মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করে কেন্দ্র। তবে তখন স্পষ্ট ছিল না মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ভবিষ্যত। তবে শেষমেষ এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বাড়ানো হল মাদারের হাতে গড়া সংস্থারও।