বেআইনওি টোটো, ই রিকশা রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কের ওপর চলার ফলে যেমন যানজট বাড়ছে তেমনি𝕴 দুর্ঘটনাও বাড়ছে। সাধারণত টোটো বা ই রিকশার কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। গত কয়েক বছরে রাজ্যে বিক্রি হয়েছে লক্ষ লক্ষ তিন চাকার এই যান বিক্রি হয়েছে। এবার এই যান নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টোটো ই রিকশা বিক্রি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সেই কারণে ডিলারদের তলব করেছে পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন: জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে🌊 টোটো, অটো বন্ধের দাবিতে উত্তর দিনাজপুরে𝔉 বাস ধর্মঘটের ডাক
জানা গিয়েছে, দেড়শো ডিলারকে ডেকে পাঠাতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। চলতি সপ্তাহে তাঁদের ডেকে পাঠানো হতে পারে। আগামী দিনে যেন রেজিস্ট্রেশন ছাড়া এই য❀ান বিক্রি করা না হয় সে বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করা হবে। তারপর🔥েও যদি রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া টোটো বা ই রিকশা কোনও ডিলার বিক্রি করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই গত কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ টোটো বিক্রি হয়েছে। আগামী দিনে যেন এরকম না হয় তারজন্য ডিলারদের সতর্ক করা হবে। পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, রেজিস্ট্রেশন না থাকায় এই তিন চাকার গাড়ি সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে টোটো, ই রিকশা বিক্রি হলে আগামী দিনে মানুষের হাঁটার কোনও জায়গা থাকবে না।
সাধারণত পরিবহণ দফতরের নিয়ম অনুযায়ী টোটোর নির্দিষ্ট কোনও রুট নেই। আর তার ফলেই সমস্যা বাড়ছে। এরফলে সমস্যায় পড়ছে বাস পরিবহণ ব্যবস্থা। তাছাড়া দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখে শীঘ্রই টোটো ই রিকশার জন্য নিয়ম আনতে চলেছে রাজ্য প🌊রিবহণ দফতর। সম্প্রতি পুরসভাগুলিকে কতটা টোটো ও ই রিকশা চলছে সে🙈ই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছে পরিবহণ দফতর।
জানা গিয়েছে, টোটো, ই রিকশা পরিবেশবান্ধব হওয়ায় সারা দেশে প্রচার করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য কোনও রুট পারমিট প্রয়োজন হয় না। মূলত গ্রামের ভিতর থেকে মানুষকে বড় রাস্তায় পৌঁছে দেওয়া হল এদের কাজ। তবে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে বেআইনিভাবে রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের ওপর এই সব যান চলছে। যার ফলে যানজট বাড়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা বাড়ছে। আবার আবার সরকারি তরফ💝ে ৭ টি সংস্থাকে টোটো তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হলেও বিভিন্ন লেদ কারখানায় বেআইনিভাবে টোটো তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। সেক্ষেত্রে অভিযান চালিয়ে বেআইনি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা পাওয়ার পরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই হুগলিতে পরিবহণ দফতর এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ টি বেআইনি যান আটক করে পুলিশ। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আগেই জানিয়েছিলেন, জাতীয় এবং রাজ্য সড়কের উপর বেআইনিভাবে টোটো, অটো চালানো যাবে না। তার পরিপ্রেক্♏ষিতে বেআইনি যান নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছে র🅰াজ্য পরিবহণ দফতর।