রাজ𓄧্য বাড়ছে টোটো, ই–রিকশার দাপট। এরফলে যেমন যানজট বাড়ছে, তেমনি দুর্ঘটনাও বাড়ছে। আর টোটো, ই–রিকশা বাড়ার ফলে সবচেয়ে যে সমস্যাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেটি হল যাত্রী 🌳নিয়ে। কারণ স্বল্প দূরত্বের রাস্তায় যাত্রার জন্য বাসের পরিবর্তে টোটো, ই–রিকশাকেই বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা। যার ফলে সরকারি এবং বেসরকারি বাসগুলি ঠিকমতো যাত্রী পাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে যাত্রী না পাওয়ার ফলে বহু বাস রুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত কারণে বেআইনি টোটো, ই–রিকশার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাস রুটে টোটো, ই–রিকশা চালানো যাবে না। তাছাড়া বেআইনি টোটো তৈরির কারখানা বন্ধ করতেও পদক্ষেপ করছে পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন: বাস ভাড়া কি বাড়বে? আজ পরিবহণ দফতরের সꦇঙ্গে মালিকদের বৈঠক
সাধারণত বহু বেকার যুবক আয়ের জন্য টোটো, ই–রিকশাকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ একবার ব্যাটারি চার্জ করলে এই যানে যাত্রী বহন করা সম্ভব কোনও খরচ ছাড়াই। তাই বেশি আয়ের লক্ষ্যে টোটো কিনছেন বহু মানুষ। পরিবহণ দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ৭ লক্ষ টোটো, ই–রিকশা চলে। ফলে রাজ্যের সর্বত্রই টোটো, ই–রিকশার রমরমা। তবে তিন চাকার ব্যাটারি চালিত টোটো, ই–রিকশা মোটর ভেহিকেল ক্যাটাগরিতে পড়ে না। সেই কারণে এই যানের উপর আরটিওর নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে রাজ্যের সর্বত্রই টোটো চালকদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এই অবস্থায় এই স༺মস্ত যানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করꦯতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেআইনি টোটো, ই–রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। তাছাড়া বহু কারখানায় বেআইনিভাবে টোটো, ই–রিকশা তৈরি হচ্ছে। অথচ সেখানে নিরাপত্তা বিধি মানা হচ্ছে না। ♍এই সমস্ত বেআইনি কারখ𝐆ানাগুলিকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই একাধিক টোটো, ই–রিকশা তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকার টোটো, ই–রিকশার তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল মাত্র🏅 ৯টি সংস্থাকে। ঠিক হয়েছিল তারাই টোটো, ই–রিকশা তৈরি করবে এবং যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে নকশা তৈরি করবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে অনেক সংস্থায় বেআইনিভাবে টোটো, ই–রিকশা তৈরি করছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও কবে থেকে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে? সে বিষয়ে পরিবহণ দফতরের তরফে কিছু জানা যায়নি। তবে বড় রাস্তায় টোটো, ই–রিকশা বন্ধ করা হলে সেক্ষেত্রে এলꦗাকার ছোট গলি এবং রাস্তাতে টোটো, ই–রিকশা চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।