⭕রাজবংশীদের নিয়ে 'বেফাঁস' কথা বলে কার্যত বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ইতিধ্য়েই উত্তরের গ্রেটার নেতারা এনিয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। তার মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতার বক্তব্যেকে খোঁচা দিয়ে বাজার গরম করা শুরু করে দিয়েছেন। তবে এসবের মধ্য়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কী বলতে চেয়েছেন তা নিয়ে কার্যত সাফাই দিতে আসরে নামলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর টুইটকে তুলে ধরে লিখেছেন,
😼মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলতে চেয়েছেন সেটা একেবারে পরিষ্কার। তিনি বলতে চেয়েছেন, যেভাবে শরীরের প্রতিটি অঙ্গই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেভাবেই বাংলার সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাজবংশীরা। এমনকী তিনি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য তাঁদের পা স্পর্শ করার উপরেও জোর দিয়েছেন।
▨রাজবংশী সমাজের প্রতি তাঁর যে দায়িত্ববোধ সেটা তাঁর একাধিক কাজের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে।
রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ড তৈরি।
⛎রাজ্যের সরকারি ভাষা হিসাবে রাজবংশীকে স্বীকৃতি দেওয়া।
✨পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি ও তাঁর জন্মদিবসকে ছুটি হিসাবে ঘোষণা করা।
♊তবে বিজেপির মতো রাজনৈতিক দলের ভোট ব্যাঙ্ক রক্ষার জন্য এটা করাটা ঠিক নয়।
ꦗএদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ঘিরে ক্ষুব্ধ গ্রেটার নেতৃত্ব। এমনকী তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনও এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলছেন। তিনি বলেন, আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমরা বলছি ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রী।
𝔉এদিকে বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন।এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী বলেছিলেন?
🅺গত ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় ঐক্য নিয়ে বলতে গিয়ে নিজের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঙ্গে এক-একটি জাতির তুলনা করেন। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রাজবংশীর সঙ্গে নিজের পায়ের তুলনা করেন। তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
🍰তিনি বলেছিলেন আমার এক হাত যদি হয় হিন্দু তবে আর এক হাত মুসলমান…আমার একটা পা যদি হয় আমার রাজবংশী আর একটা পায়ে আমি চলি তাদেরকে দেখে নমস্কার করি সেটা হচ্ছে মতুয়া। ….
🍸মমতার এই বক্তব্যের পরে একদিকে মতুয়া আর অন্যদিকে রাজবংশী উভয়ের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
༺শুভেন্দু লিখেছেন, 'যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় যে বিভিন্ন সম্প্রদায় কতটা প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা বোঝাতে গিয়ে উনি নিজের দেহের অংশবিশেষের সাথে তুলনা করছিলেন, তাহলে কাউকে প্রশংসা করার জন্য নয়নের মনি, হৃদয় অথবা কর্মঠ বাহুর সাথে তুলনা টানতেন। কখনো শুনেছেন কাউকে, পায়ের সাথে অথবা নখের সাথে তুলনা করতে, প্রশংসাসূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে? কেউ তা করেন না কারণ তা অপমানের সামিল বলেই গণ্য হয়। '