পুলিশের পোশাক পরে চুরির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তদন্তে নেমে দেখা যায় সরষের মধ্যেই ভূত। হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে পুলিশের পোশাক পরে এই কাজ করা হয়েছে বলে ভেবেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সমীরণ মান্না। কিন্তু পরে দেখা গেল, পুলিশই চোর। এই হার ছিনতাইয়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার হাওড়꧂া সিটি পুলিশের দুই♈ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল বড়বাজার থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল হাওড়ায়? অভিযোগ, গত মঙ্গলবার দুই কনস্টেবল এবং দুই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘেরাও করে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাꦺসিন্দা প্রৌঢ় সমীরণ মান্নাকে। হাওড়া স্টেশনের কাছেই বাস থেকে নামতেই সমীরণবাবুকে একটি সাদা গাড়িতে তুলে নেয় চারজন। নিউটাউনে বিশ্ববাংলা গেটের কাছে নামিয়ে তাঁর রুপোর সমস্ত গয়না ছিনতাই করে তারা।
তারপর ঠিক কী ঘটেছিল? এই ঘটনার পর প্রৌঢ় সমীরণবাবু বড়বাজার থানায় অভিযোগ জ✃ানান চার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করল বড়বাজার থানার পুলিশ। নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব যে পুলিশ কনস্টেবল থাকেন তাঁরাই ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকায় চা📖ঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঠিক কী তথ্য পায় পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে চুরিতে ব্যবহৃত গাড়ি খুঁজে বের করা হয়। গাড়ির চালক সঞ্জয় কুমার শাহকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর সঞ্জয়কে জেরা করতেই বাকিদের খোঁজ পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার উত্তর নারায়নপুরের বাসিন্দা ফিরোজ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ৪.৬ কেজি ওজনের রুপোর গ♈য়না উদ্ধার করা হয়। তার পর জয়নগরের আব্🐷দুল সালেম শেখ এবং হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবল সুরজিৎ সরকার ও সমীরণ পাত্রকেও গ্রেফতার করা হয়।