২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানিয়েই। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্ত শোনার পর শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি বিভাগীয় তদন্ত করবেন।২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষে ২৫৩টি বিএড কলেজকে অনুমোদন দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি লিখেছেন প্রাক্তন উপাচার্য মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল। এই চিঠি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই চিঠি প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন,'গুরুত্বপূর্ণ চিঠি অথচ আমাকে দেওয়ার আগেই আগেই তা ভাইরাল করা হল। চিঠিতে কোন স্বাক্ষরও নেই।'সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গত ৮ জুন উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে একটি ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় অনেক বিএড কলেজ এই মাপকাঠি পূরণ করতে পারছে না। গত ৩০ জুন কর্মসমিতির বৈঠক হয়। 'কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা ৩ আগস্ট উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানানো হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। তারপরই ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়। তাঁর কথায়, ‘ইউনিভার্সিটি ইজ নট অ্যা পোস্ট অফিস, নট রানড বাই এনি পলিটিক্যাল ডাইরেক্টিভস।(বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট অফিস নয়, বা কোনও রাজনৈতিক দলের নির্দেশে চলে না।’সোমবার তিনি আবারও বলেন, 'বারবার বলছি এনসিটিই-এর শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। মানবিক দিক থেকে বারবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিছু কলেজ শর্তাবলী পূরণ না করে অফলাইনে ভর্তি নিয়েছে। আমরা তাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়েছি। সেটাও মানবিকতার কারণেই।'এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কেন বিএড কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করা হল তা বিভাগীয় তদন্ত করে দেখবে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। যেসব বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে এবং কেন তা বাতিল করা হল, সবটাই তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে উপাচার্য জানালেন, বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানিয়েই।