বিজেপির অন্দরে কামিনী–কাঞ্চনের কথা তিনিই প্রথম ফাঁস ক꧋রেছিলেন। এমনকী বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে থাকা কেডিএসএ’র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। একদা তিনি রাজ্য পার্টির দায়িত্ব সামলেছেন। আবার দুই রাজ্যের রাজ্যপাল হয়েছিলেন। কিন্তু আজ আর সক্রিয় ভূমিকায় নেই তিনি। টুইট করে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। দলের সমালোচনাও করেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি তথাগত রায়। এবার আবার সংবাদমাধ্যমে বঙ্গ– বিজেপিকে নিয়ে মুখ খুললেন তি🔥নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি থেকে অন্য দল থেকে লোক নেওয়া নিয়ে নিশানা করলেন রাজ্য নেতৃত্বকে।
ঠিক কী বলেছ🗹েন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা? তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকে আসা নেতাদের উপর নির্ভর করে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব ভুল করেছেন এবং করছেন বলে মনে করেন তিনি। আদি বিজেপি নেতাদের উপর ভ💮রসা রেখে তথাগত রায় বলেন, ‘আমার চিরকালই এমন মনে হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বকে সে কথা বারবার বলেও ছিলাম। কিন্তু কেউ সে কথায় কর্ণপাত করেননি। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। পালে প্রবল হাওয়া থাকা সত্ত্বেও হেরে ভূত হয়ে গেল বিজেপি। তাতে নাকের বদলে নরুন পেলাম, টাকডুমাডুমডুম এই বলে যুক্তিও সাজানো হল।’
তাহলে কি বহিরাগতদের জন্যই পরাজয়? বﷺাইরে থেকে যাঁরা বিজেপিতে বিশেষ ধান্দা নিয়ে এসেছেন𓆏 তাঁদেরকে দলের বাইরে রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। এই নিয়ে তথাগত রায় বলেন, ‘দলের প্♋রতি নিষ্ঠা থাকꦛা দরকার। যাঁরা শুধু টাকাপয়সা, মহিলার ধান্দা নিয়ে এসেছেন, তাঁদের যতদূর সম্ভব বাইরে রাখা উচিত। তাঁরা কারা, সকলে জানেন। দলের ভিতরের সকলে তো জানেনই।’ তবে তিনি এখানে সবাইকে এক আসনে বসাননি। যাঁরা নির্বাচনের ফলাফলের পর দলবদল করেছেন এবং এখনও করছেন তাঁদের নিশানা করেছেন তিনি।
ঠিক কী অভিযোগ অভিনেত্রী নিয়ে? একুশের নির্বাচনে বিজেপির গোহারা হওয়ার জন্য কামিনী কাঞ্চনে ডুবে থাকার কথা বলেছিলেন তথাগত। এদিনও আবার সꦦেই কথাই ফিরে এসে তিনি বলেন, ‘একজন অভিনেত্রীর নানা গুণাগুণ রয়েছে। সে কথায় যাচ্ছি না। কিন্তু সেই অভিনেত꧂্রী বিজেপির টিকিট পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন তাবড় নেতার সঙ্গে স্টিমার পার্টিতে গিয়ে জলকেলি করলেন। তারপরও তাঁর টিকিট বাতিল হল না! এমন কাজ সুস্থ মস্তিষ্কের কোনও মানুষ কখনও করেন। এমনকী দলের মধ্যে এই নিয়ে কোনও প্রতিবাদই শোনা যায়নি।’