নজিরবিহীনভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যাল✃য়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন পড়ুয়ার তাঁকে সম্মান দিচ্ছে না। এমনকী পড়ুয়াদের একাংশ ইসি-র মিটিং বানচাল করে দিচ্ছে। ফলে, র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। আর এবার র্যাগিং নিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন উপাচার্য। তিনি বলেছেন, কিছু ছাত্র💟 র্যাগিংকে জিইয়ে রাখতে চাইছে।
আরও পড়ুন: চেয়ারে বসে সম্মান নেই, তাই ধর্না, ১৮ ঘণ্টা পর অবস্থান তুলে নিয়ে বললেন উ🍷পাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, বন্ডিংয়ের নাম করে কিছু ছাত্র র্যাগিংকে জিইয়ে রাখতে চাইছে। এমনকী দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের র্যাগিং করা হচ্ছে। তারা সিনিয়র ছাত্রদের ভয় পাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক বছর পড়ুয়াদের জন্য পৃথক 💯হস্টেলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্তে কিছু পড়ুয়া বিরোধিতা করছে বলেই দাবি করেছেন উপাচার্য। সম্প্রতি ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট দিয়েছিল অভ্যন্তরীণ কমিটি। সেই কমিটি একাধিক ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শাস্তির জন্য সুপারিশ করেছিল। তা নিয়ে ইসি কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের বিরোধিতার কারণে সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, তদন্ত কমিটি বহু ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে হস্টেল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল। এর আগে যাদবপুরের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের বৈঠকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে ৩৫ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশকে মান্যতা দেওয়া হয়। তারপর বিষয়টি ইসি বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। উপাচার্যের অভিযোগ ছিল, বুধবার রাতে ইসি কমিটির বৈঠকে ছাত্ররা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে তাদের নিগ্রহ করেছিল। সেই কারণে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তারপরে ধর্নায় বসেন উপাচার্য।