বামফ্রন্ট সরকার যখন বাংলার ক্ষমতা থেকে চলে যায় তখন বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা রেখে গিয়েছিল। যা শোধ করতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বলে অভিযোগ। এবার ঋণের বোঝা ক্রমশ কমিয়ে আনছে রাজ্য সরকার বলে 𝔉খবর। এমন তথ্যই শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে তুলে ধরলেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বামফ্রন্ট সরকারের জমানার শেষ বছর থেকে শুরু করে মা–মাটি–মানুষের সরকারের এখন পর্যন্ত শতাংশের হিসাব বিধানসভা💎য় তুলে ধরলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে প্রত্যেক বছর ধাপে ধাপে কেমন করে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমিয়েছে রাজ্য সরকার।
এই তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদেরও কড়া জবাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। রাজ্যের মোট উৎপাদন ক্ষমতা এবং ঋণের পরি🎉মাণের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। বিধানসভায় এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ সালে ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। আর রাজ্যের মোট উৎপাদন ছিল ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। যা শꦆতাংশের হিসাবে ৪০.৬৫। ২০২২–২৩ এবং ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে এই শতাংশ ছিল যথাক্রমে ৩৭.৪৯ এবং ৩৭.০৮। এমনকী ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৮৮ শতাংশ। নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ৩৬ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা নেয়নি রাজ্য সরকার।’
আরও পড়ুন: ‘বেআইনি করে হলেও চাকরি 🔯তো হয়েছে’, নিয়োগ দুর্নীতির প্রশ্ন⛎ে বিস্ফোরক জবাব মিত্র মদনের
এই তথ্য তুলে ধরে বিরোধীদেরও জবাব দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কারণ বিরোধীরা এই ঋণ নিয়ে বারবার কটাক্ষ করেন। রাজ্যটা ঋণে চলছে বলে দাবি তাঁদের। সেখানে এই তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে বুঝিয়ে দিলেন ঋণ ক্রমশ কমছে রাজ্যের কাঁধ থেকে। সরকারি ঋণের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ হয় বিধানসভায়। ১৬৯ ধারা অনুযায়ী এটি করা হয়। এটা করতে কেন তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। তখন পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের দেবব্রত মজুমদার ও মন্ত্রী নিজে। অশোকবাবু বলেন, ‘এই প্রস্তাব আনতেই হবে। কিন্তু এত কম সময়ে কেন? এক বছর আগে তো কেন্দ্র চিঠি দিয়েছে।’ দেবব্রত মজুমদার কেন্দ্রের ঋণ ও রাজ্যের ঋণের তুলনা টেনে পাল্টা বলেন, ‘কেন্দ্রের ঋণ সবমিলিয়ে এক কোটি ৭০ লক্ষ কোটি টাক♎ার মতো। মোট জিডিপি’র সঙ্গে শতাংশের হিসাবে ৫৮। আর রাজ্যের ক্ষেত্রে তা ৩৮ শতাংশের কম। মূলধনী খরচ ২০১১ সালে ২৭০০ কোটি টাকা ছিল। আর এখন রাজ্যে এই খরচ ৩২ হাজার কোটি টাকা।’