সারা দেশে 'টার্গেট' ছিল ৩৭০, আর বাংলায় '৩০ পার'। তবে সদ্য সমাপ্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে মাত্র ১২-তেই আটকে যায় পদ্ম শিবির। সেই অর্থে সারা দেশেই বিজেপির ফল আশানুরূপ হয়নি। তবে বাংলায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কাজে লাগাতে পারেনি বিজেপি। এর জেরে ২০১৯ সালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই বাজে ফল হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তবে কেন এমনটা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবের খোঁজের মাঝেই বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক বসে শনিবার। আর লোকসভা ভোটে বিজেপির ফলের কারণ খুঁজে বের করতে এক নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল পদ্ম শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে𒆙।
শনিবারের বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন না। তবে সুকান্ত মজুমদার, ꦡদিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিস্ফোরক সব মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, 'সাধারণত দল হারা আসন জেতার পরিকল্পনা করেন। তবে এখানে জেতা আসন হারার পরিকল্পনা করা হয়েছে।' উল্লেখ্য,𝕴 দিলীপ ঘোষকে এবারের ভোটে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করা হয়েছিল। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের বিদায়ী সাংসদ এসএস আহলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করা হয়েছিল আসানসোলে। এদিকে মেদিনীপুরে প্রার্থী করা হয়েছিল আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। এই তিন আসনই এবারের ভোটে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় বিজেপি। এদিকে এবারের লোকসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রায় ১৫০-র বেশি প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। তবে ভোটে হারের পরে তিনি ভোট প্রচার এবং ভোটের ফলাফলের বিষয়টি কার্যত সংগঠনের ঘাড়ে চাপান। এই পরিস্থিতিতে শনির কোর কমিটির বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় বিজেপির ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করতে সাংগঠনিক স্তরে সমীক্ষা চালানো হবে। উল্লেখ্য, বাংলায় বিজেপির পাঁচটি সাংগঠনিক জোন আছে - উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর। জানা গিয়েছে, এই জোনভিত্তিক পৃথক পৃথক সমীক্ষা চালানো হবে লোকসভা ভোটের ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করতে। জোন ধরে ধরে আলাদা বৈঠক হবে। সেখানে সেই✨ জোনের লোকসভা আসনের প্রার্থীদের ডাকা হবে। সাংগঠনিক জেলা সভাপতিরাও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিধানসভা এবং লোকসভার ইনচার্জরা থাকতে পারেন সেই বৈঠকে। সেই বৈঠকেই ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা কর হবে। অবশ্য এই সব বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর তদারকিতে এই সব বৈঠক অনুষ্🃏ঠিত হতে চলেছে।