আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর পর কালীঘাটের বাসভবন থেকে সকলকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। আর দলের অ্যাজেন্ডাকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপি একহাত নেন তিনি। জোর করে নাম বলাতে শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছে ইডি। গোপনাঙ্গে অত্যাচার করছে। মুখ্যমনꦏ্ত্রীর অভিযোগ, ‘প্রত্যেদিন সকালেই কোনও না কোনও নেতা–মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিচ্ছে ইডি। আর ফিজিক্যাল টর্চার করছে। গোপনাঙ্গেও চলছে অত্যাচার। অত্যাচার করে বলছে, এর নাম বলো। না বলা পর্যন্ত অত্যাচার চলবে।’
এদিন বিজেপির কার্যকলাপ নিয়ে তিনি সরব হন। নিম্ন আদালতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে নির্দেশ আসে। বিচারব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করছে বলে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। ম💫মতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিচারবিভাগকে সম্মান করি। সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে কিছু বলব না। তবে লোয়ার কোর্ট, সেখানে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে নি🀅র্দেশ আসছে। সেখান থেকে ড্রাফটিং আসে। আর বললেই বিজেপি বলে, আমরা তো কিছু করিনি। আদালত বলেছে। ওদের কথা না শুনলে সরিয়ে দেবে। চিফ জাস্টিস হতে চাইলে ৭৫ দিন নষ্ট করে দেবে।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খানিকটা হুঁশিয়ারিও দেন। তাঁর কথায়, ‘লিমিট যখন লিমিটলেস হয়ে যায় তখন বলতে বাধ্য হচ্ছি🔯। আজ জেলায় জেলায় দুর্গাপুজো কার্নিভাল রয়েছে। মন্ত্রী, বিধায়করা ব্যস্ত। আগামীকালও আছে কার্নিভাল। তার মধ্যে ভোরবেলায় বিজয়া দশমী করতে গিয়ে দেখে ইডি রেইড করছে। নাম বলানোর জন্য অত্যাচার চালানো হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সবকা বিকাশ সবকা সর্বনাশ। সব মন্ত্রীদের বাড়ি গিয়েই যদি ইডি রেইড করে, তাহলে সরকারটা বাকি থাকে কেন? বিজেপি কি মনে করে এভাবে সবার মুখ বন্ধ করা যাবে? ওরা প্যাথোলজিক্যাল লায়ার। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এটা করা যায় না।’
আরও পড়ুন: ‘দেশের পরম্পরাকে রক্ষা করুন’, প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যম♛ন্ত্রী
আর কী বলেন মুখ্যমন্ত্রী? শাড়ি–সালোয়ার বা অন্য ড্রেস মহিলাদের থাকে। ছবি তুলছে কটা শাড়ি আছে বলে ইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘কটা কসমেটিকস আছে দেখছে। নোংরা খেলা চলছে। তল্লাশির নামে শাড়ির ছবি তুলছে। বিজেপির নোংরা রাজনীতি। কারও বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তল্লাশি। একটাও বিজেপি নেতা–মন্ত্রীর বাড়িতে কি রেইড 🎉হয়েছে? যখন তখন আইন বদলাচ্ছে। আরও তিনটি সাংঘাতিক আইন আসছে। কোনও এলাকায় কেউ পুলিশে কাজ করে। তাঁকে তো স্থানীয় ভাষা জানতে হবে। চিফ জাস্টিসের সার্ভিসে অন্তত আঞ্চলিক ভাষা জানার লোক পাঠান। সেটা পাঠাবে না। যাঁরা আঞ্চলিক ভাষা জানবেন, তাঁদের সরিয়ে দেবে। সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না।’