আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক 𝕴বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দেশের পরম্পরা রক্ষা করার বার্তা দিলেন। দুর্গাপুজোর পর কালীঘাটের বাসভবন থেকে সকলকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। আর দলের অ্যাজেন্ডাকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপি একহাত নেন তিনি। আবার কিছুদিন অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ করার পর ফের সাংবাদিক বৈঠক ডাকবেন বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এদিন বিজেপির কার্যকলাপ নিয়ে তিনি সরব হন। দেশ যেভাবে চলছে সেটা সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে মুখ্যমন্ত্রীর মত। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই দেশের পরম্পরাকে রক্ষা করুন। না জানলে জেনে নিন। খোঁজ করে নিন। এভাবে দেশ চলতে পারে না। প্যাথলজিক্যাল লায়ার হওয়া উচিত নয়। আমাদের কাছেও অনেক কিছু আছে। পেন ড্রাইভও আছে। কিন্তু আমি দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সম্মান করি। উপরের চেয়ারে যিনি বসে আছেন সেই চেয়া🉐রকে সম্মান করি। তাই কিছু বলি না। মনে রাখবেন 🎃প্রতিশোধমূলক রাজনীতি কখনও ভাল হয় না।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খানিকটা হুঁশিয়ারিও দেন। তাঁর কথায়, ‘আপনি দেখুন কী হচ্ছে। দেশের তো একটা পরম্পরা রয়েছে। সেটাকে রক্ষা করুন। আর যদি মনে করেন বিজেপির অ্যাজেন্ডা চালিয়ে যাবেন তাহলে তা করুন। হয় সেটা থামান, না হয় তা চালিয়ে যান। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। মনে রাখবেন আমরাও অনেক কিছু করতে পারি। জ্যোতিপ্রিয়র স্বাস্থ্য খারাপ। অনেক সুগার। ও যদি মারা যায়, তাহলে বিজেপি এবং ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর করব। আমাদের সাংসদ ছিলেন সুলতান আহমেদ। তিনি মারা গিয়েছেন। তিনি সিবিআই থেকে চিঠি পেয়েছিলেন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। 💧নাম বলানোর জন্য অত্যাচার চালানো 𒁏হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সবকা বিকাশ সবকা সর্বনাশ।’
আরও পড়ুন: ইডির তল্লাশির সম🔴য়ই জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে সব্যসাচী, হাতে নিয়ে মিষ্টির প্যাকেট
আর কী বলেন মুখ্যমন্ত্রী? ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা দিয়েছে বিশ্বভারতীকে। সেখানে কবিগুরুর নাম বাদ রাখা হয়েছে। তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রবীন্দ্রনা𓆉থের ছবি নিয়ে আন্দোলন করা হবে।’ দেশের নাম বদল নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘ইতিহাস বদলে দিচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সবকা বিকাশ সবকা সর্বনাশ। হঠাৎ করে সার্ক🧜ুলার জারি করা হচ্ছে সব জায়গা থেকে ইন্ডিয়া নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এত ভয় কেন? বিজেপি নেতাদের বাড়িতে কেন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? নোংরা খেলা চলছে। তল্লাশির নামে শাড়ি-কসমেটিক্সের ছবি তুলছে। বিজেপির নোংরা রাজনীতি। কারও বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তল্লাশি। আমাদের সংবিধানকে কনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া বলে। যাঁরা এই সংবিধান রচনা করেছিলেন তাঁদের অন্তত একটু সম্মান করুন।’