আশা করেছিলেন তিনি। আর সেই আশাই এবার প꧟ূরণ হল। বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে জঙ্গলমহলের আদিবাসী তিরন্দাজিদের নিয়ে বড় আশা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর ইচ্ছায় তৈরি হওয়া রাজ্যের আর্চারি অ্যাকাডেমির ছেলেমেয়েরা একদিন দেশের মুখ নিশ্চয়ই উজ্জ্বল করবে। এই কথা বলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফল মিলল। এবার বাংলার মুকুটে নয়া পালক যোগ হল। জাতীয় স্তরে তিরন্দাজির স্কুল ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় মোদীর রাজ্য গুজরাট থেকে পুরষ্কার ছিনিয়ে আনল দিদির রাজ্য বাংলা। আর এই পুরষ্কার এল ঝাড়গ্রামের ছেলে অনিমেষ রায়ের হাত ধরে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রচণ্ড খুশি হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর সেটাই ভাগ করে নিলেন তিনি রাজ্যের মানুষের সঙ্গে। গতকাল রবিবার এই খুশির খবর সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে। আর এক্স হ্যান্ডেলে অনিমেষ রায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘গুজরাটে অনুষ্ঠিত ৬৮তম ন্যাশনাল স্কুল গেমস ২০২৪–এ অনূর্ধ্ব–১৯ বিভাগে ইন্ডিয়া রাউন্ড ইভেন্টে ঝাড়গ্রামের বেঙ্গল আর্চারি একাডেমির তিরন্দাজ অনিমেষ রায় সোনার পদক জয় ক🎃রেছে। ওর এই সাফল্যের জন্য অনিমেষকে আন্তর🎃িক অভিনন্দন জানাই।’
গত শুক্রবার রাজারহাটের আদিবাসী ভবনের মঞ্চ থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসকে রাজ্য সরকারের🌌 তৈরি করা অ্যাকাডেমিগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনও কেউ ভাবেননি এমন একটা ঘটনা ঘটতে চলেছে। বাংলার ছেলের হাত ধরে সাফল্য আসতে চলেছে। তবে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিন এই বাংলার ছেলেমেয়েরাই আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। ওঁদের নিয়ে আমার অনেক আশা আছে। আগামীদিনে প্যারালিম্পক্সে বাংলার ছেলেরা আর্চারিতে সোনা পাবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর আশা বেশ খানিকটা পূরণ হল। বাকিটাও একদিন হবে বলে অনেকে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ঘাটালে ডাকাতির ছক বানচাল করল পুলিশ, ভিন রাজ্যের ১৩ জন দুষ্কৃতী গ্রেফতার
আর গুজরাট থেকে বাংলায় পুরষ্কার আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের ভূমিকা ক্রীড়া ক্ষেত্রে। মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে মনে করিয়ে দেন, ‘অনিমেষের মতো বাংলার প্রতিভাবান তরুণ–তরুণীদের খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে ঝাড়গ্রামের আর্চারি একাডেমি সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, সাঁতার ইত্যাদির জন্য মোট ৮টি একাডেমি আমাদের সরকারইꦫ তৈরি করেছে। এটা আমার গর্ব। একদিন এইসব জায়গা থেকে ছেলেমেয়েরা অলিম্পিকে যাবে, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। এই প্রত্যাশা আমি রাখি।’