বারবার ধরা পড়ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। কিন্তু তারপরও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যেসব নিষিদ্ধ বাজি ধরা পড়ছে না সেগুলি তো কালীপুজো, দীপাবলিতে ফাটবে। ইতিমধ্যেই শহরের নানা জায়গায় নিষিদ্ধ বাজি ফাটতে শুরু করেছে। কিন্তু কেউ ধরা পড়েনি বলেই খবর। সুতরাং আসন্ন কালীপুজো এবং দীপাবলিতে রাজ্যে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দৌরাত্ম্য বাড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা। তাই এসব বন্ধ করতে রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি দিলেন পরিবেশকর্মীরা। এই আবহে আজ, সোমবার কালীপুজোর উদ্বোধন শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার একাধিক কালীপুজোর উদ্বোধনে হাজির থেকে বার্তা দিলেন তিনি। দীপাবলি এবং ছটপুজোয়𒁃 অশান্তি না ছড়ানোর বার্তা দেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
বাংলার উৎসবের সময় অনেকে দাঙ্গা–হাঙ্গামা করার চেষ্টা করেন। তাই পুলিশ প্রশাসন যাতে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতꦕা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ গিরীশ পার্ক ফাইভ স্টার স্টোরিং ক্লাব, জানবাজার সম্মিলিত কালীপুজো সমিতি, ইয়ুথ ফ্রেন্ডস ক্লাব কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যেন না হয়। 🦄বাজি নিয়ে কোনও দাঙ্গা–হাঙ্গামা করতে দেওয়া হবে না। দীপাবলিতে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। শান্তি বজায় রেখে উৎসব পালন করুন।’
আরও পড়ুন: নবান্নে একাধিক সচিবদের কাছে চিঠি পাঠালেন পরিবেশকর্মীরা, কী দাবি তুললেন তাঁরা?
মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও খবর আছে অনেকে সবুজ বাজি না বিক্রি করে তলে তলে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করছেন। আবার নিষিদ্ধ শব্দবাজি নিয়ে ধরাও পড়ছে অনেকে। এই বিষয়টি নিয়ে সতর্কবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘বাজি এমনভাবে পোড়াবেন যাতে অন্যের ক্ষতি না হয়। পুলিশ প্রশাসন যেভাবে বꦯলবে সেই ভাবে চলতে হবে। পরিবেশ বান্ধব বাজি ব্যবহার করুন। কেউ কেউ বাংলার বদনাম করছে। তাদের বলব দয়া করে বাংলাটাকে নিজের ভাবুন। আজও বাংলা যা পারে সেটা কেউ পারে না।’