আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই। কাতারে কাওতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মতলার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাইভোল্টেজ সমাবেশ হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর। এই আবহে বিজেপির সঙ্গে ভবিষ্যতে কি জোট বাঁধতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস? এমন গুঞ্জন বারবার উঠেছে। তবে একুশের শহিদ সমাবেশ থেকে স্পষ্টভাষায় উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এবং দলের অবস্থান জানিয়ে দিলেন। যার পর থেকে লড়াই যে জারি থাকবে 𒀰তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
এদিকে কংগ্রেস–সিপিএম প্রায়ই বলে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির সেটিং আছে। কিন্তু প্রত্যেক নির্বাচনেই দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ে তাদের পরাজিত করছে। রাজ্য–রাজনীতিতে এখন ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে সিপিএম–কংগ্রেস। সেখানে আজ, রবিবার শহিদ সমাবেশ থেকে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তা দিলেন সিপিএম–কংগ্রেসকেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বুকে রক্ত থাকতে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির সဣঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস হাত মেলাবে না। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। টাকা দিয়ে সরকার তৈরি করেছে। দল কিনে নিয়েছে, অথচ মন্ত্রিত্বও দেয়নি। সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতির কাছে আমরা মাথা নত করব না।’
অন্যদিকে এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে গোহারা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। আর তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন পেয়েছে। সেটিং থাকলে এটা যে সম্ভব হতো না সেটা কৌশলে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তাই দলের নেতা–কর্মীদের আরও সোজা পথে হাঁটার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দলনেত্রীর বক্তব্য, ‘কেউ যেন আপনাদের লোভী বানাতে না পারে। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়। ভোটে জিতে মানুষকে পরিষেবা না দিলে কোনও সম্পর্ক নেই। এখন থেকে কোনও ꦑঅভিযোগ যেন না আসে। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেব। অন্যায় করবেন না, অন্যায় সহ্যও করবেন না।’
আরও পড়ুন: ‘আমরা ভোট করতে জানি না’, বা🥂ঁকুড়ায় দাঁড়িয়ে ফের 🅠বেসুরো বক্তব্য দিলীপ ঘোষের
এছাড়া উপনির্বাচনেও পর পর সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বরাহনগর এবং ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। দুটিতেই জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর মানিকতলা, রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ এবং বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। সেখানে ৪–০ করে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কা𒐪র, ‘আমরা ভয় পাই না, লড়তে জানি। আমরা বাংলার অস্তিত্ব রক্ষা করব। বাংলাই 🙈দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করবে। বাংলা ছাড়া দেশ চলতে পারে না। আমার কাছে ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি আছে। বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেস আদালতে গিয়ে চাকরি আটকে দিচ্ছে। কারও চাকরি যাবে না। আমরা সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছি। এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কিছু করা যাবে না।’