বোমা - বন্দুক প্রতিহত করার সংগঠন বিজেপি এখনও তৈরি করতে পারেনি। তাই বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে হার হয়েছে দলের। শনিবার দুপুরে রাজ্যের ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন বিজেপির মুখপ🔯াত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন - রোজভ্যালি ܫকর্তা গৌতম কুন্ডুর জামিন, আমানতকারীরা কি টাকা ফেরত পাবেন?
পড়তে থাকুন - এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল মমতার সরকার, কারণটা🌞 কী?
এদিন শমীকবাবু দাবি করেন, ‘আমাদের চিরাচরিত ভোট ব্যাঙ্কের ওপর আক্রমণ হয়েছে। সেটাকে আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। আজকে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সংগঠন বলতে যেটা বোঝানো হচ্ছে সেটা আমাদের নেই। বোমা - গুলি দিয়ে যে ভাবে সন্ত্রাস চলল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যে ভাবে পরিচালিত হতে হল নির্বাচন কমিশনক🃏ে এত বলার পরেও।'
তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচনে সাধারণত শাসকদলই জয়ী হয়। এটাই পশ্চিমবঙ্গের ট্রাডিশন। বাগদা ও রানাঘাটে যে ব্যবধানে হার হয়েছে তা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে তার থেকে ব্যবধান একটু বেশি হয়েছে। কেন সেটা হয়েছে তা খতিয়ে♒ দেখতে হবে। বিজেপি এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে।’
শমীক ভট্টাচার্যের স্বীকারোক্তি, ‘যে সুরক্ষা কꦕর্মীদের দেওয়া দরকার ছিল সেটা আমরা দিতে পারিনি। মানুষের কাছে কিছু কিছু ভুল বার্তা গিয়েছে। আতঙ্কের আবহে মানুষকে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। বাগদা ও রানাঘাটের নির্🐟বাচনে তার প্রতিফলন স্পষ্ট। এটা জনমানসের প্রকৃত প্রতিফলন নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়াই করতে পারি। আমাদের কর্মীরা এত মার খাওয়ার পরেও আমরা লোকসভা নির্বাচনে লড়েছি। ১২টা আসনে জিতেছি, ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমাদের জনসমর্থন ও জনভিত্তি রয়েছে। কিন্তু বোমা - পিস্তলের মোকাবিলা তো পালটা বোমা - পিস্তল – লাঠি দিয়ে হয় না। কিন্তু যেখানে পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, দুষ্কৃতী, রাজনৈতিক কর্মী, নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী একযোগে আক্রমণ করছে তাকে প্রতিহত করার জন্য যে সাংগঠনিক দক্ষতা সেটা আমাদের নেই। অপারক আমরা। এভাবে নির্𓂃বাচন করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের কায়দা বদলাতে হবে। আমাদের প্রার্থী তো অন্য রাজ্যেও পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু সেখানে সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই।’
আরও পড়ুন - রাতে নৌকায় 💫ঘুমিয়ে থাকার সময় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল বাঘ
শনিবার রাজ্যের ৪ বিধানসভা আসন মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ আসনের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। ৪টি আসনেই বিপুল ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। লোকসভায় পিছিয়ে থাকা আসন বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ💜িয়েছে রাজ্যের শাসকদল। হার হয়েছে কলকাতা শহরের আসন মানিকতলাতেও।