আগামিকাল কটক ও ভুবনেশ্বর যাবেন বাংলার 𒊎মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তার জেরে শয়ে শয়ে মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। পর দিনই বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ🐎্যায়। সেখান থেকে তিনি ফিরে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। আর আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। আর আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, মঙ্গলবার আবার তিনি কটকে যাচ্ছেন। এই ঘোষণার পর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
কেন আবার কটক যাচ্ছেন? ওড়িশার একাধিক হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা চলছে বাংলার মানুষজনের। সেই আহত বাংলার যাত্রীদের দেখতে আবার ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ৫৩ জনের চিকিৎসা চলছে কটকেও। তাঁদের দেখতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই ৫৩ জনের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা গুরুতর।’ আজ হাওড়ার টোল প্লাজায় মৃত চারজন যাত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। আর এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও বহু যাত্রী ভর্তি আছেন ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে। তাঁদের দেখতে মঙ্গলবারই ꦡওড়িশা য🦹াচ্ছি।’
আর কী জানান মুখ্যমন্ত্রী? আজ, সোমবার বালেশ্বর থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ রাজ্যে এসেছে। সেখানে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় মৃত যাত্র꧅ীদের শেষ শ্র💯দ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘বাংলার মোট ৯০ জনের মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে। তার মধ্যে ৭৩টি দেহ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। বাকি দেহগুলিকে আনা এবং শনাক্ত করার কাজ চলছে। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে নবান্ন। সমস্ত কাজ ম🦋সৃণভাবে হচ্ছে। দুর্ঘটনায় যাঁদের হাত–পা বাদ গিয়েছে, তাঁদে♌র পরিবারের সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। আমিও জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, সাঁইথিয়া দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। এত বছর পরেও কিছুই হয়নি। এটা সিবিআই–এর কাজ নয়। রেলওয়ে সেফটি কমিশনের বিষয়টা দেখা উচিত।’