‘ইনি একজন অর্থোপেডিক সার্জেন। সরকারি চাকরি করেন না। প্রাইভেট প্র্যাকটিশ করেন। দক্ষিণ কলকাতায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোনও সিদ্ধানꦿ্ত এনার মতামত ছাড়া হয় না। স্বাস্থ্য় ভবনের নির্দেশিকাও রাতারাতি ওই চিকিৎসকের অঙ্গুলিহেলনে বদলে যায়।’ এতটাই নাকি তাঁর প্রভাব! এরপর দীর্ঘ কথা তাঁর সম্পর্কে লিখে চিঠি যাচ্ছে বিভিন্ন মহলের কাছে। সঙ্গে ছবিও রয়েছে।
আর যাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছে তিনি আর কেউ নন চিকিৎসক শ্যামাপদ দাস। আর সেই চিঠির নীচে লেখা, আসুন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগকে দাসপ্রথা থেকে মুক্ত করি… পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক চিকিৎসক মঞ্চের নামে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মঞ্চের পেছনে আসলে কে আছে সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে এমন একটি চিঠি হাতে পেয়ে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। লেখা হয়েছে, ভালোমানুষের মুখোশের আড়ালে মিথ্যে ও মনগড়🙈া স্বাস্থ্য় প্রশাসনকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেন।
রাজ্যের একাধিক চিকিৎসকের কাছে এই ধরনের চিঠি গিয়েছে। এনিয়ে কানাঘুষোও কিছু কম হচ্ছে না। কিন্তু আচমকা ডাঃ শ্যামাপদ দাসকে কেন টার্গেট করা হল? তাছাড়া সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের সামনেও তাঁর ꦺবিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। এবার একেবারে চিঠি।
এদিকে এই চিঠির সঙ্গে একেবারে পয়েন্ট করে নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে রাজ্যের স্বাস্থ্য় ব্যবস্থায় উ⛦ত্তরবঙ্গ লবির কথা প্রায়ই শোনা যায়। বেশ শক্তিশালী এই লবি। এই লবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলে স্বাস্থ্য় প্রশাসনিক বিভাগে কোনও চিকিৎসক বছরের পর বছর ধরে একই জেলায় থেকে যেতে পারেন। শিলিগুড়িতে তার হাতে গরম নজির রয়েছে বলে একাংশের মত।
তবে যাঁর বিরুদ্ধে এত কথা তাঁর অবশ্য আরও একটা পরিচয় আছে। তিনি মুখ্য়মন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক। শোনা যায় খোদ মুখ্য়মন্ত্রী বেশ ভরসা করেন তাঁকে। সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রী যখন পায়ের সমস্যায় ভুগছিলেন তখন তাঁর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন এই চি♐কিৎসকই।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়ে♓ছে, চিকিৎসক শ্য়ামাপদ দাস জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণের নেপথ্য়ে কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে কি না দেখতে হবে। সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, মুখ্য়মন্ত্রীর ব্য়ক্তিগত চিকিৎসক হওয়ার কার🦄ণে কেউ যদি আমায় ক্ষমতাবান মনে করেন তাহলে সরাসরি যোগাযোগ করে কথা বলুন। লুকিয়ে কুৎসা রটাচ্ছেন কেন? আর বিরোধী দল এমন করেছে বলে মনে হয় না।
এবার প্রশ্ন মেঘের আড়াল থেকে তির ছুঁড়ছেন কারা? উদ🐓্দ🌞েশ্য়টা কী?