রাস্তাঘাট ফাঁকা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়🅷ার পর খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কেউ বেরোচ্ছে না। তবু শুনতে পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণে বেড়ে চলেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন বাংলার মানুষ। এই আবহে একটি মানবিকতার ছবি ফুটে উঠল খাস কলকাতায়। ইএম বাইপাস ধরে সোজা এগোলে চিংড়িঘাটা পার করে পড়বে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভারতের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। যেখানে একদল যুবক–যুবতী জড়ো হয়েছে। এঁরাই গতবছর করোনার প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আজ ওরা সেরে উঠেছে। তাই জানে কষ্টের মুহূর্তগুলি। তবে আজ তাঁরা জড়ো হয়েছে অন্য কারণে। মানুষের সেবা করতে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যাঁরা আক্রান্ত হযে হাসপাতালে ভর্তি হবেন তাঁদের সেবা করবে এই যুবক–যুবতীরা। রাজ্যের বিভিন্ন হꦏাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোভিড রোগীর সেবা করবেন তাঁরা।
মাত্র চার মাসের মধ্যে আবাౠর করোনা রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করেছে। অনেকে ভয়ে করোনা রোগীকে স্পর্শ করে না। ফলে তাঁরা সেবা পান না। চিকিৎসার অভাবে মারা যান করোনা আক্রান্ত রোগীরা। এই বিষয়ে ১৯ বছর বয়সী তোহিদুর মোল্লা বলেন, ‘চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। আর এখান থেকেই করোনা রোগীদের সেবা করে চলেছি। করোনা রোগী কমে গিয়েছিল যখন তখন আমি বাড়ি চলে গিღয়েছিলাম। কিন্তু আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০ এপ্রিল যোগ দিয়েছি শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে।’ এদেরকেই বলা হচ্ছে করোনা যোদ্ধা।
গতবছর যখন প্রথম করোনার ঢেউ বঙ্গে আছড়ে পড়েছিল তখন এই করোনা যোদ্ধাদের নিয়ে করোনা যোদ্ধা ক্ꩲলাব তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। সেই শুরু। এখানের বেশিরভাগ সদস্যই করোনাজয়ী। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করে চলেছে। এমন ৬৮০ জন যুবক–যুবতী আজ সরাসরি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করতে এসেছে। বিনিময়ে তাঁরা কিছুই পান না। প্রাপ্তি বলতে একের পর এক সেরে💎 ওঠা মানুষের আশীর্বাদ। মুর্শিদাবাদ জেলার বাপন দেওয়ান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ যখন কমে গিয়েছিল আমাদের মধ্যে অনেককেই বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছিল। এমনকী আমাকে দুপুরের খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে খেয়েছি। তারপরও কোভিড রোগীদের সেবা করে গিয়েছি। এটাই দুঃখের।’
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই করোনা যোদ্ধাদের জন্য মাসির ১৫ হাজার টাকা করে ভাতার ব্যবস্থা করেছিল। জীবনের ঝুঁকির কাছে যে অর্থ সামান্যই। তবে আবার সেই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে বলে খবর। আপাতত ৩১ মে পর্যন্ত এই চুক্তি বহাল থাꦺকছে। তাঁদের আশা আবার সরকার গঠনের পর বিষয়💟টি ভাল করে দেখা হবে। তাঁরাও উপকৃত হবেন। আজ করোনার দাপট বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা মানুষের পাশে রয়েছেন। কোভিড–১৯–কে পরাজিত করাই তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ।