কোষাগারে টানের জেরে রাজ্যের শিক্ষকদের পেনশন বন্ধ করল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও কিছু সংবাদমাধ্যমও এই নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বিগত ছয় মাসে যে শিক্ষকরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি পেনশন। কবে ফের পেনশন চালু হতে পারে, সেই নিয়ে অবশ্য রাজ্য সরকারের কোনও বক্তব্য নেই। এই আবহে চরম সংকটে দিন কাটছে শিক্ষকদের। যে শিক্ষকরা বহু দশক ধরে বাংলার ভবিষ্যত গড়ার জন্য নিষ্ঠা ভরে কাজ করেছেন, আজ তাদের ঘরেই অন্ধকার।জানা গিয়েছে, পেনশনের পাশাপাশি শিক্ষকদের গ্র্যাচুয়িটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, পেনশন অফিসে গিয়ে কোনও জবাব পাওয়া যায় না। সরকারি কর্মীরা শুধু নাকি শুধু বলেন, ‘দেরি হবে।’ এই করে করে ছয় মাস কেটে গেলেও এখনও কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সল্টলেকের পুর্ত ভবনে প্রায় রোজই হাজির হচ্ছেন অবসপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। মূলত ছয় মাস আগে যে শিক্ষকরা অবসর নিয়েছেন, তারাই এই সমস্যার মুখে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অবসর নেওয়ার পর সব নথি পত্র জমা দিয়ে পেনশনের অনুমোদন পেলেও অ্যাকাউন্টে ঢোকে না টাকা।জানা গিয়েছে ডিআই অফিসের অনুমোদন নিয়ে শিক্ষকরা ডিরেক্টর অব পেনশন পিএফ অ্যান্ড গ্রুপ ইনসিওরেন্সের অফিসে সব নথি জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৮১ সাল থেকে রাজ্যে শিক্ষকরা পেনশন পেয়ে থাকেন। তবে গত ছয় মাস ধরে রাজ্যে অবসর নেওয়া কোনও শিক্ষক পাচ্ছেন না কোনও অবসকালীন আর্থিক সুবিধা। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক এখন অবসর নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন পেনশনের।