বাবুল সুপ্রিয় এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আগেই ছেড়ে দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। এবার এই ইস্যুতে অমিত শাহের মন্ত্রকের সঙ্গে তুমুল তরজা বাঁধল বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে। আজ, বৃহস্পতিবার বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ–কে চিঠি লিখে এই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। কিন্তু অমিত শাহের মন্ত্রকের নথি বলছে, বাবুল সুপ্রিয় এখনও ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। এই নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা।কী বলছে সেই নথি? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্রে খবর, সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গেলেও এখনও সরকারি নথিতে বাবুল সুপ্রিয় ওয়াই ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সিআরপিএফের সাতজন কমান্ডো। যদিও বাবুল এই কথা মানতে নারাজ। তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন। দু’পক্ষই নিজ নিজ দাবিতে অনড় থাকায় চাপে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলে ঠিক কী ঘটেছে? জুলাই মাসে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। তারপর ৭ জুলাই তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সিআইএসএফ–কে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। বাবুলের কাছে সেই চিঠির কপি রয়েছে। কিন্তু গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাবুলের নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়। জেড ক্যাটেগরি থেকে করা হয় ওয়াই ক্যাটেগরি। কিন্তু তা প্রত্যাহার করা হয়নি। আবার বাবুলও যে নিরাপত্তা পেয়েছেন তাও নয়। এমন কাজ কার্যত বিরল।বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর নবান্নে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই গাড়িতে গিয়েছিলেন। তখনই বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নিতে বলেছেন। আর আজ, বৃহস্পতিবার বাবুল সুপ্রিয় জানান, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়েছিল। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে আগে সিআইএসএফ ছিল। সিআরপিএফ ছিল না। তাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা তিনি সিআইএসএফ–কে জানিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, বাবুল সুপ্রিয় যদি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান তাহলে তা দেখা যাচ্ছে না কেন? উত্তর মেলেনি।