নয়া বছর থেকেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করবে কেন্দ্র। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রণয়নের জন্য প্রচার শুরু করবে বিজেপি। রবিবার মেয়ো রোডের জনসভায় একথা জানালেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং সহ-সভাপতি মুকুল রায়।আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে যে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টিকে হাতিয়ার করতে চলেছে, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। তাই যতদিন যাচ্ছে, তত সুর চড়াচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তারই রেশ ধরে বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (অমিত শাহ) বহিরাগত বলছেন। কিন্তু যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে এসে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে, তারা তাঁর (মমতা) কাছে বহিরাগত নয়। আপনি (মমতা) কি তাঁদের পিসি?’যথারীতি মেরুকরণের তাস খেলে বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘যে হিন্দুরা শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছিলেন, তাঁদের নাগরিকত্বের প্রদানের বিরোধিতা করছেন মমতাজি। আমরা কেন তা হতে দেব? সমান মর্যাদা নিয়ে হিন্দু শরণার্থীদের কি নাগরিকরা হিসেবে বাস করতে পারবেন না?’মুকুলও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আগামিদিনে সেই বিতর্কিত আইন নিয়ে আরও জোরদার প্রচারে নামবে বিজেপি। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে যাব। নাগরিকত্ব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেওয়াল লিখন পড়তে পারছে না তৃণমূল। রাজনীতিতে এটা অপরিণতবোধ। ২০০ টির বেশি আসন নিয়ে আমরা ভোটে জিতব। ২০০ আসন জিততে না পারলে এই কঠোর পরিশ্রমের কোনও দাম থাকবে না।’যদিও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, কোনওমতেই বাংলায় সিএএ প্রণয়ন করা যাবে না। দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন আগেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা আইনের বিরোধিতা করেছিলাম এবং বিজেপিকে আটকাব।’ নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে সিপিআই(এম)ও। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বিজেপির পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত। তবে আমরা এখন কোনও মন্তব্য করব না।’