দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন মেয়র। পরে এক পুর নির্বাচনকে ঘিরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সুব্রতবাবুর। আরও এক পুর নির্বাচন। সুব্রতবাবু নেই। আছেন তাঁর বোন। এবার তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পালা ছিল তাঁর। নির্দল প্রার্থী হিসেবেই ভোট ময়দানে পদার্পণ সুব্রতবাবুর বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের। অবশ্য টিকিট না পেয়ে স্থানীয় নির্বাচনে নির্দল দাঁড়ানোর নজির এর আগে বহু জায়গাতেই দেখেছে। সেই ক্ষেত্রে নির্দলরা জিতলে দল আবার কাছে টেনে নেয় তাঁদের। তো ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়ে তনিমাদেবী যদি জেতেন, তাহলে তাঁকেও কি দেখা যাবে ঘাসফুল শিবিরেই? ভোটের ব্যস্ততায় ক্লান্ত হয়ে পড়া তনিমাকে এই প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘এই ক্ষত যাওয়ার নয়।’মান-অভিমান থাকাটাই স্বাভাবিক। দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর তাঁর আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জিততে বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেও পরে তনিমাদেবীকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নেয় ঘাসফুল শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল প্রতীক দিয়েও প্রতীক ফিরিয়ে নেয় তনিমাদেবীর থেকে। বদলে টিকিট দেওয়া হয় বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই।এই আবহে তৃণমূলে ফেরা নিয়ে নির্দল প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তাঁ বক্তব্য, ‘প্রচারে নেমে দলের বিরুদ্ধে একটা শব্দও প্রয়োগ করিনি। যা বলার বলেছি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। দাদার আত্মার শান্তির জন্যেই আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি।দলের বিরুদ্ধে আমার কোনও লড়াই নেই। আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও, আমি ভোটে দাঁড়াতাম না। কিন্তু বিদায়ী কাউন্সিলরকে তৃণমূল প্রার্থী করাতেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’রাজনীতি পরিবর্তনশীল। অভিমানের সুর থাকলেও জিতলে তিনি কী করবেন, সেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রেখেই দিলেন তনিমাদেবী। এখন অপেক্ষা ভোটের ফলাফলের।