পুজোর কার্নিভাল নিজের মতো চলবে। সঙ্গে চলবে 'দ্রোহের কার্নিভাল'। তাঁরা অন্তত রাজ্য সরকারের আয়োজিত পুজোর কার্নিভালে কোনওরকম বাধা দেবেন না বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস হালদার। সোমবার রাতে তিনি জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার পুজোর কার্নিভাল হলেও তাতে মেতে ওঠার মতো মানসিক জায়গায় নেই তাঁরা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরে ৬৫ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও বিচার মেলেনি। ৫ অক্টোবর থেকে কয়েকজন সহযোদ্ধা আমরণ অনশন করছেন। সেই পরিস্থিতিতে তাঁরা পুজোর কার্নিভাল নয়, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করবেন। ধর্মতলা থেকে তৈরি করা হবে মানববন্ধন। তাঁরা নিজেদের মতো করে প্রতিবꦡাদ জানাবেন। রাজ্য সরকারের 🐼আয়োজিত পুজোর কার্নিভালে কোনও বাধা দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ নেই পুলিশি অনুমতি
এমনিতে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস'-র তরফে মঙ্গলবার যে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-র ডাক♒ দেওয়া হয়েছে, তাতে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। প্রাথমিকভাবে ꩲসেই কর্মসূচি প্রত্যাহারের আর্জি জানান মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত। তারপর পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
পুলিশের অনুমতি চাইনি আমরা, দাবি আয়োজকদের
যদিও আয়োজকদের দাবি, তাঁরা পুলিশের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন না। তাঁরা পুলিশের অনুমতিও চাননি। তাঁরা স্রেফ জানিয়ে দিꦅয়েছেন যে মঙ্গলবার যখন রেড রোডে পুজো কার্নিভাল চলবে, তখন তাঁরা ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-র আয়োজন করবেন। ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস'-র যুগ্ম আহ্বায়ক পুণ্যব্রত গুণের দাবি, প্রতিবাদ করা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। মিটিং-মিছিল করারও গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। ফলে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হবেই।
আর রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা কোনওরকমভাবে পুজোর কার্নিভালে বাধা দেবেন না। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম ‘মুখ’ কিঞ্জল নন্দ বলেছেন, ‘আমরা কলকাতার বুকে রাস্তার পাশে মানবন্ধন♐ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কার্নিভাল🐽ে কোনওরকম বাধা তৈরি করা হবে না।' সেইসঙ্গে জেলায়-জেলায় স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদ মিছিল আয়োজনেরও ডাক দিয়েছেন তিনি।
‘কেউ কার্নিভালকে বিঘ্নিত করতে পারবেন না', বলেছে হাইকোর্ট
এমনিতে দিনকয়েক আগেই ত্রিধারা সম্মিলনী পুজোয় ‘জাস্টিস’ স্লোগান দেওয়ার মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে ‘কেউ কার্নিভালকে বিঘ্নিত করতে পারবেন না। যা প্রতি বছরের মতোই সরকার আয়োজন করেছে।’ আর সেই নির্দেশের কারণেই আন্দোলনকারীরা ‘গান্ধীবাদী’ পথে হাঁটতে এমনিতেই বাধ্য বলেꦫ মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।