জ্যেঠু ভর্তি হাসপাতালে। তাঁর স্বাস্থ্যবিমার নথি জমা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরেই ফোঁটা নেওয়ার কথা ছিল শুভজিতের। ভাইফোঁটার সকালে বেসরকারি বাসের বেপরোয়া চাকা কাড়ল তাঁর প্রাণ। তখনও বাড়িতে থালা সাজিয়ে ভাইয়ের অপেক্ষায় দিদি। ঘটনায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।শনিবার সকালে বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় শুভজিৎ সুর নামে ওই যুবকের স্কুটারকে ধাক্কা মারে একটি বেসরকারি বাস। রাস্তায় ছিটকে পড়েন শুভজিৎ। এর পর তাঁকে পিষে দেয় বাসটি। পুলিশকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। শুভজিতের দিদি জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ফিরে ফোঁটা নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার বদলে বাড়িতে পৌঁছয় শুভজিতের মৃত্যুসংবাদ। ভাইয়ের মৃত্যুর কথা কী ভাবে মা-কে বলবেন বুঝতে পারছেন না শুভজিতের দিদি।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে শুভজিতের বাবার। দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছে শুভজিতের দিদির। বাবার পেনশনের টাকায় পড়াশুনো করে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার মুখে ছিলেন শুভজিৎ। চলছিল চাকরির তোড়জোড়। তারই মধ্যে খসল তাঁর জীবতারা।ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন শুভজিতের দিদি। ভাইকে ফোঁটা দিতে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সাংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পর থেকে ভাইকে নিয়েই ছিল মা। মা-কে কী করে ওর মৃত্যুর খবর দেবো?’দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেসরকারি বাসের চালক এতটাই বেপরোয়া ছিলেন যে দুর্ঘটনার পর তিনি বাস থামাননি। চলন্ত বাস থেকেই লাফ দিয়ে পালান তিনি। এর পর উড়ালপুলের ঢাল বেয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে নামতে থাকে বাসটি। এক যাত্রী ব্রেক কষে বাসটিকে থামান।