বিস্ময়ের ঘোর কাটতে সময় লাগবে বেশ কিছুক্ষণ। কারণ অতুলনীয় দক্ষতা ও মনের জোর। যে মনের জোর খুঁজলে সহজে পাওয়া সম্ভব নয়। যার কথা হচ্ছে, তিনি এক তরুণ। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের বাসিন্দা তুহিন দ༒ে। পড়াশোনায় ছোট থেকেই ভাল তুহিন। কম্পিউটার নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল তুহিনের। কম্পিউটার সায়েন্স তাই বিটেক করেছেন। হাত পা চালাতে অসুবিধা হলেও কম্পিউটার চালাতে অসুবিধা হয়নি তুহিনের। কারণ ভরসা ছিল মুখ। মুখ দিয়েই অনেকে বিশ্বজয় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কজনই বা পেরে ওঠেন। তুহিন দেখিয়ে দিয়েছেন, সৎভাবে অসম্ভব বলে প্রায় কিছুই হয় না। তাই এখন চাকরির লোভনীয় প্রস্তাবও ছেড়ে দিয়েছেন তুহিন। উচ্চশিক্ষাই তাঁর লক্ষ্য। আইআইটি খড়গপুর থেকে উচ্চতর শিক্ষালাভের লক্ষ্য দিনরাত এক করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তুহিন। সেখান থেকে এমটেক ও পিএইচডি করাই লক্ষ্য ওঁর।
বিশেষ সম্মানে সম্মানিত তুহিন
৩ ডিসেম্বর ছিল বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক দিবস। রাষ্ট্রসংঘের এই বৈশ্বিক উদযাপনের দিনই তুহিনের꧋ হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ সম্মান - ‘অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্সি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কস’। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে এই সম্মানে সম্মানিত করা হয় তুহিনকে।
আরও পড়ুন - খাবার খাওয়ার আগে না পরে, ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন? অন൲েকেই ভুলটি করে🐈ন
আর পাঁচজনকে ছাপিয়ে…
প্রসঙ্গত, খড়গপুরের মালঞ্চনিবাসী তুহিনের দুই হাত ও পা অচল। এরপরেও নিচের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে কখনও বাধা হতে দেননি। হুইলচেয়ারে করেই বিভিন্ন স্থানে যেতে হয় তাঁকে। কিন্তু বিশেষ সুযোগসুবিধার কোনওটাই নিতে চান না তুহিন। এখানেই যেন আর পা🔴ঁচজন মানুষকে ছাপিয়ে যান এই তরুণ।
আরও পড়ুন - শীত প🅺ড়তেই হাঁটুর ব্যথায় কাতর? কোন খাবারগুলি নিয়মিত খেলে যন্ত্রণা কমবে