কেন্দ্রের বিবৃতি না শুনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি 💙করার প্রশ্ন নেই, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে ৪ সপ্তাহ সময় দিল আদালত।
বুধবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে 🍬জমা পড়া ১৪৪টি আবেদনের শুনানিতে লোক উপচে পড়ে। তার জেরে আদালতের কাজ শুরু করতে দেরি হয়।
শুনানির গোড়াতেই প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি জমা না পড়া পর্যন্ত ওই আইনে স্থগিতাদেশ জারি করা যাবে না। বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়া রয়েছেন বিচারপতি এস আবদুল নাজির এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। একই সঙ্গে হাইকোর্টে এই আইন সংক্র๊ৈান্ত কোনও মামলা করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতে জমা পড়া🌱 আবেদনের অধিকাংশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও কিছু আবেদনে এই আইন সাংবিধানিক বলে ঘোষণা করার দাবিওজানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় CAA বিরোধী প্রস্তাব, বাম - কং-এর কটাক্ষ, বিলম্বিত বো
এ দিন শুনানি শুরু হলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, জমা পড়া ১৪০টি আবেদনের মধ্যে মাত্র ৬০ꦍটি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে সরাসরি করা হয়েচে। তিনি ওই আবেদনগুলির জবাব দিতে বেঞ্চের কাছে সময় চান।
অন্য দিকে, বেশ কিছু আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, মামলার শুনানি সাংবিধানিক বেঞ্চে হওয়া উচিত। শীর্ষ আদালতের রায় না পাওয়া পর্যন♎্ত এই আইনের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়া ২-৩ মাসের জন্য স্থগিত রাখার জন্য তিনি সরকারকে নির্দেশ দিতে বলে আদালতের কাছে আর্জি পেশ কꦜরেন।
আরও পড়ুন: 'রক্ত দিয়ে কেনা মাটি,কাগজ দিয়ে নয়', ডার্বিতেও NRC প্রতিবাদ
একই সঙ্গে সিবাল বেঞ্চকে বলেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকে এনপিআর প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনাও অভ্যন্তরীণ নির্দেশের মাধ্যমে বাতিল করা হোক। তাঁর সঙ্গী আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যদি ৭০ বছর অপেক্ষা করা গে🍌ল, তা হলে আরও দুই মাস অপেক্ষা করဣতে কী অসুবিধা হবে?’