আগামী সপ্তাহে লং আইল্যান্ডের একটি হাইস্কুল থেকে স্নাতক হওয়া সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে ইতিহাস রচনা করতে চলেছে ১২ বছর বয়সি সুবর্ণ আইজ্যাক বারি। শুধু তাই নয়, সুবর্ণ এই বছরই নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্যে ভরতি হচ্ছে। সেখানে ফুল স্কলারশিপ বা বৃত্তি পেয়েছে সে। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের এই কৃতিত্বের কথা ভাগ করে নিয়েছে সুবর্ণ। সঙ্গে নিজের বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সে। এদিতে ফেসবুকে সুবর্ণ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে, যেখানে দেখা যায়, যে সে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে অঙ্ক নিয়ে লেকচার দিচ্ছে নিজের থেকে অনেক বড় বড় ছাত্রদের। (আরও পড়ুন: NET-এর পরে কি এবার বাতিল হবে NEET൲? প্রশ্নকাণ্ডে যা জানাল সুপ্রিম কো🦋র্ট)
আরও পড়ুন: ম্যাজিক ♐ফিগার '২৭.৫',সরকারি কর্মীদের বেতন-DA নিয়ে CM-এর বড꧒় সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটে
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য সুখবর, নীরবেই জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি, সই রাজ⭕্যপালের
এদিকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া নিয়ে সুবর্ণ বলে, '১২ বছর বয়সে আমি মালভার্ন হাই স্কুলে গ্রেড ১২-এ আছি। সামনের মাসে আমার গ্র্যাজুয়েশন। আজ মালভার্ন হাই স্কুলে আমাদের গ্র্যাজুয়েশন রিহার্সাল ছিল। আমিই প্রথম আমেরিকান (ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে) হব যে কি না ১২ বছর বয়সে হাইস্কুল থেকে স্নাতক হবে। আমি ইতিমধ্যে গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞানে বিএস করার জন্য নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়🍎ে সুযোগ পেয়েছি। সেখানে আমি পূর্ণ বৃত্তি পেতে চলেছি। আমার মা🥃, বাবা ও ভাইয়ের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এটা সম্ভব হত না।'
আরও পড়ুন: এল 'ডিএ নোটিফিকেশন', আচমকাই লক্ষ্মীলাভ বাংলার সরক🀅ারি কর্মীদের
এদিকে পোস্টে বিশেষ করে নিজের বাবা রাশিদুল বারির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুবর্ণ। সে বলে, 'আমার বাবা রোজ আমার জন্য ক্যাব ড্রাইভারের মতো কাজ করতেন। প্রতিদিন তিনি আমাকে মালভার্ন হাই স্কুল থেকে স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় (৪০ মাইল) এবং তারপরে স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউ উয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় (৬০ মাইল) এবং তারপরে বাড়🅷িতে (২০ মাইল) নিয়ে যেতেন। এমনকি ক্যাব ড্রাইভাররাও প্রতিদিন ১২০ মাইল গাড়ি চালান না। ধন্যবাদ বাবা।' নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুবর্ণ ইতিমধ্যেই দুটি বই লিখেছে এবং ভারতে কলেজের ক্লাসে পড়িয়েছে। প্রথমে চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং পরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে দু'বার ক্লা♛স 'জাম্প' করেছে সুবর্ণ। সুবর্ণর বলে, 'আমার লক্ষ্য একজন অধ্যাপক হওয়া। আমি সারা বিশ্বের মানুষকে গণিত ও বিজ্ঞান বুঝতে সাহায্য করতে চাই।'