নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষা পরিচালনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে বহু আবেদন। সেই আবেদনগুলির ভিত্তিতে আজ শীর্ষ আদালতে ফের শুনানি হয়। এরই মাঝে আবার ইউজিসি নেট পরীক্ষা বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানানো হয়, নেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ডার্কনেটে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। আবার নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়েও একাধিক তথ্য প্রমাণ সামনে এসেছে সম্প্রতি। এই পরিস্থিতিতে নিট কাউন্সেলিং বাতিলের আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে কাউন্সেলিং বাতিলের দাবি খারিজ করল শীর্ষ আদালত। তবে এই নিয়ে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। (আরও পড়ুন: ম্যাজিক ফিগার '২৭.৫',সরকারি কর্মীদের বেতন♔-DA নিয়ে CM-এর বড় সিদ্ধান্তꦰ ক্যাবিনেটে)
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদ▨ের জন্য সুখবর, নীরবেই জারি 🅘নয়া বিজ্ঞপ্তি, সই রাজ্যপালের
এদিকে একের পর এক তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ্যে আসতেই নিট পরীক্ষায় জালিয়াতি নিয়ে কার্যত নৈতিক দায় স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী দাবি করলেন, সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় জালিয়াতির ক্ষেত্রে যদি আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কোনও দোষ থাকে বা এনটিএয়ের কোনও শীর্ষকর্তা তাতে যুক্ত থাকেন, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এর পাশাপাশি এনটিএ-র কার্যপদ্ধতি, কাঠামো, পরীক্ষার পদ্ধতি, স্বচ্ছতা, পরিসংখ্যান এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা সরকারি কর্মীদের মধ্যে, বৈঠকে চরম ক্ষুব্ধ হꦚয়ে বিস্ফোরক মমতা)
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় জমা পড়ল 'জয়েন্ট রিপোর্ট', বিস্ফোরক দাবি লোকো ইন্সপ🔯েক্টরের
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে নিট বাতিলের দাবি উঠেছিল। তবে☂ প্রাথমিক ভাবে সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এখনও পরীক্ষা বাতিলের কথা বলা হয়নি সরকারের তরফ থেকে। তবে জালিয়াতি যে হয়েছে, তা কার্যত মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। এর আগে বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের হাতে একের পর এক প্রমাণ এসেছে এই সংক্রান্ত। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা ৬টি পোস্ট ডেটেড চেক উদ্ধার করেছেন। তা থেকে জানা গিয়েছে, নিটের তথাকথিত প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্যে পরীক্ষার্থী পিছু ৩০ লাখ টাকা করে নিয়েছিল মাফিয়া গোষ্ঠী। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ইওইউ) মানবজিৎ সিং ধিলোঁ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই চেক উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'তদন্ত চলাকালীন, গোয়েন্দারা ছয়টি পোস্ট-ডেটেড চেক উদ্ধার করেছে। পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার জন্যে সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল।' রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া চেকগুলির সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের সম্পর্কে বি▨স্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: জমি দখলের অভিযোগে পুরসভার নোটিশ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে, আদালতে গেলেন T💮MC স♐াংসদ
এদিকে পরীক্ষার আগেই নিট প্রশ্নপত্র হাতে আসার কথা স্বীকার করে বিহারের এক পরীক্ষার্থী। সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের হাতে ধৃত অনুরাগ যাদব নামক এক পরীক্ষার্থী জেরায় জানিয়েছেন, ৪ মে রাতে তাঁর আঙ্কেল তাঁকে অমিত আনন্দ এবং নীতীশ কুমার নামক দু'জনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে নিট-এর প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র দেওয়া হয়েছিল। সারা রাত বসে আমাকে সেই উত্তরপত্র মুখস্ত করতে বলা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত অনুরাগ সমস্তিপুরের বাসিন্দা। সে কোটা থেকে সমস্তিপুরে ফিরেছিল নিট পরীক্ষায় বসার জন্য। এদিকে অনুরাগের আঙ্কেল একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র। এদিকে অনুরাগের বয়ানের অমꦰিত আনন্দ পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র সিকন্দরের সঙ্গে মিলে সে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ষড়যন্ত্র করেছিল। ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা দরে সে এক এক পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল। এদিকে এই ঘটনায় আয়ুষ নামক এক পরীক্ষার্থীর বাবা অখিলেশও গ্রেফতার হন। তিনিও প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করেন💮। এদিকে অনুরাগের মা রীনাদেবীও প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করেন পুলিশি জেরায়।