প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই UPSC সিভিল সার্ভিসেসে তৃতীয় হলেন দোনুরু অনন্যা রেড্ডি। যিনি মেয়েদের মধ্যে দেশে প্রথম হয়েছেন। শুধু সেটাই নয়, বাড়িতে বসেই প্রায় পুরো প্রস্তুতি সেরেছেন ২২ বছরের অনন্যা। শুধুমাত্র অ্যানথ্রোপজির (নৃতত্ববিদ্যা) জন্য কয়েক মাস হায়দরাবাদে গিয়ে কোচিং নিয়েছিলেন। তেলাঙ্গানার মহবুবনগর জেলার ছোট্ট গ্রাম পোন্নেকালের বাসিন্দা অনন্যা বলেন, ‘বাড়িতে বসেই ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। শুধু অ্যানথ্রোপজির জন্য কয়েক মাস হায়দ𓆏রাবাদে গিয়ে কোচিং নিয়েছিলাম।’ আর তাতেই মিলেছে সাফল্য।
বয়স মাত্র ২২ হলেও সেই সাফল্য পাওয়ার স্বপ্নটা দীর্ঘদিন ধরেই দেখে আসছিলেন অনন্যা। প্রাথমিকভাবে মহবুবনগর জেলায় নিজের স্কুলজীবন শুরু করেছিলেন। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে দু'চোখে UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় বাজিমাত করে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চলে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। সেখান♛ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ মিরান্ডা হাউস কলেজ থেকে ভূগোলে অনার্স করার পাশাপাশি চালাচ্ছিলেন UPSC সিভিল সার্ভিসেসের প্রস্তুতি।
গ্র্যাজুয়েট হওয়ার এক বছরের মধ্যেই UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় বসেন অনন্যা। আর মঙ্গলবার রেজাল্ট প্রকাশিত হতেই নি😼জের নামটা তিন নম্বরে দেখে উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছেন ২২ বছরের মেয়ে। তিনি বলেন, ‘ইন্টারভিউটা ভালোই হয়েছিল আমার। আমি আশা করেছিলাম যে চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম থাকবে। কিন্তু স্বপ্নেও ভাবিনি যে আমার নামটাꦰ তিন নম্বরে থাকবে।’
আরও পড়ুন: IPS Tripti Bhatt: ১৬টা সরকারি চাকরি নেননি, যাননি ই🐬সরোতেও,কীভাবে আইপিএস হলেন তৃপ্তি? অনুপ্রেরণা কে?
উচ্ছ্বাসের মধ্যেই গর্বের সঙ্গে ক্রিকℱেটের ভক্ত অনন্যা বলেন, ‘আমার পুরো পরিবারের মধ্যে একমাত্র আমিই সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় সাফল্য পেলাম এবং আইএএস অফিসার হতে চলেছি। স্কুলজীবন থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল যে আমি আমলা হব এবং সমাজের সেবা করব।’
কীভাবে ইউপিএসসির সিভিল সার্ভিসেসের প্রস্তুতি নিতে হবে? টিপসও দেন অনন্যা
অনন্যা জানান, একেবারে কঠোর পরিকল্পনার মধ্যে থেকেই তিনি পড়াশোনা করেননি। কোনও নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মেনে চলেননি। তিনি বলেন, 'দিনে আমি ১২-১৪ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতাম।' সেইসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে তিনি জানিয়েছেন যে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেসে যাঁরা আগের বছরগুলিতে টপার হয়েছেন, তাঁ⛎রা যা বলছেন, সেটাই অক্ষরে-অক্ষরে পালন করার কোনও মানে নেই। কারণ প্রত্যেকেরই পড়াশোনার আলাদা ধরন থাকে। তাইಌ নিজেদের মতো পুরোটা পরিকল্পনা করা উচিত।
ওই প্রতিবে📖দনে অনন্যা জানান, যাঁরা ইউপিএসসির সিভিল সার্ভিসেসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের প্রথমেই নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা চিহ্নিত করতে হবে।🌜 সেটা বিবেচনা করে নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে প্রার্থীদের। সেইসঙ্গে ২২ বছরের হবু আইএএস অফিসার জানান যে তিনি নিজে প্রয়োজন মতো পরিকল্পনার পরিবর্তন করতেন।