জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন আডভান্স (JEE Advance) এর সমস্ত বিভাগে কাট-অফগুলি হ্রাস করায় অনেক বেশি শিক্ষার্থীর প্রথম সারির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত হল। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় রেজিস্ট্রেশান শুরু করেছে জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটি (JoSAA) ২০২০ এবং প্রথম আসন বন্টনের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ অক্টোবর, ২০২০ তে।এ বছরের আয়োজক আইআইটি দিল্লির দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত বছর ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছিল ৩৮,৭০৫ জন শিক্ষার্থী। আর চলতি বছর ভর্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৩,২০৪ জন।গত বছরের কাট অফ ছিল ২৫%। সাধারণ বিভাগের কাট অফ কমিয়ে করা হয়েছে ১৭.৫%। তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি পজাতির (এসটি) ৮.৭৫% যা গত বছরে ছিল ১২.৫%। সাধারণ-ইডব্লিউএস এবং ওবিসি-এনসিএল বিভাগগুলির জন্য যোগ্যতার স্কোর যা গত বছরের ২২.৫% থেকে কমিয়ে এই বছর ১৫.৭৫% করা হয়েছে। এই বছর,২৩ আইআইটি-র মোট আসন সংখ্যা ২৫০০ করা হয়েছে। ২০১৯ সালেও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতি বিভাগে ৫-১০% কমানো হয়েছিল। জয়েন্ট আসন বণ্টন সংস্থার (JoSAA) এক প্রাক্তন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ২০১৯ সালে কাট-অফ কম করার পিছনে কারণ ছিল আসনের সংখ্যার চেয়ে কমপক্ষে দ্বিগুণ শিক্ষার্থীর জন্য যোগ্যতা অর্জনের কেন্দ্রীয় অনুরোধ।প্রতিবছর আইআইটি-র আসনগুলি সাতটি রাউন্ড আসন বরাদ্দের পরেও শূন্য হয়ে যায়।তাই গত দু'বছর ধরে আইআইটি অনেক বেশি শিক্ষার্থীর নাম বরাদ্দ করছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইআইটি-দিল্লি জানিয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১.৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩,২০৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ / উন্মুক্ত বিভাগে ১৮০২৮ জন, ওবিসি-এনসিএল বিভাগে ৯৩৪৯, সাধারণ অর্থনৈতিকb ভাবে দুর্বল (General EWC) বিভাগে ৫১৪০ জন, তফসিলি জাতি (এসসি) ৭৮৬৯ এবং ২৮১৮ জন রয়েছেন তফসিলি উপজাতি (এসটি) বিভাগে।পরীক্ষায় যোগ্য মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৬,৪৯৭ জন পুরুষ প্রার্থী এবং ৬৭০৭ জন মহিলা প্রার্থী। গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নে প্রাপ্ত নম্বরগুলি এবং গড় নম্বরের ভিত্তিতে র্যাঙ্ক নির্দিষ্ট করা হয়।