বাংলায় নাকি বিরাট কর্মংস্থান। কোথায় কত বিনিয়োগ &n🌳bsp;হয়েছে তারও শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তার মধ্য়েই এবার সামনে এল হতাশ করা খবর। বলা ভালো এই খবর লজ্জার।
পুরসভায় সাফাইকর্মী নে꧂ওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল মেধাবী খেলোয়াড় ক🌜োটায়, প্রাক্তন চাকরিজীবী, পূর্ত দফতরের প্রাক্তন কর্মী ও স্বল্প দৃষ্টিশক্তিহীনদের সাফাই কর্মী হিসাবে নেবে পুরসভা। তারপরই এনিয়ে আবেদনপত্র জমা পড়ে।
সূত্রের খবর, কলকাতার রাস্তায় ঝাঁট দেওয়ার জন্য,ময়লা পরিষ্কার করার জন্য় সাফাইকর্মীর প্রয়োজন হয়। আর সেই সাফাইকর্মীর কাজ চাইছেন বাংলার হয়ে অনুর্ধ্ব উনিশ ক্য়াটাগরির ক্রিকেট প্লেয়ার। পুরসভার মজদুর সাফাইকর্মী পদে তিনিই আবেদন করেছেন। ফার্স্ট ডিভিশনে ফুটবল খেলেছেন এমন খেলোয়াড়ও 𓃲এই ♑সাফাইকর্মীর কাজের জন্য আবেদন করেছেন বলে খবর।
আসলে বেকারত্বের জ্বালা এমনই। একটা কাজ মানে দুপুরবেলা গরম ভাত। সংসারের মুখে হাসি। সেজন্য রাস্তা সাফাই করা, বাড়🐻ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সাফাই করতেও পিছুপা নন অনেকেই। এমনকী পরিস্থিতি এমনই যাঁরা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন, বাংলার হয়ে খেলেছেন, তাদেরও একটা কাজ দিতে পারেনি সরকার। তারাই এবার সাফাইকর্মী পদের জন্য় আবেদন করেছেন বলে খবর।
কাজটা যাতে হয়ে যায় সেকারণে ৪৮👍 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন সিএবি কর্তা বিশ্বরূপ দের কাছে তাঁরা অনুরোধও করেছেন বলে খবর। কিন্তু যাঁদের স্থান হওয়ার কথা সবুজ মাঠে তাঁরা কলকাতার রাস্তায় ঝাঁট দেবেন, এটাꦚ কি বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে আদৌ?
তবে বিশ্বরূপ দে পুর অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছিলেন, প্রাক্তন খেলোয়াড়, স্বল্প দৃষ্টিশক্তিহীনদের নিলে প্রকৃত কাজ হবে না। যাঁরা ঝাঁট দেওয়ার কাজে দক্ষ তাঁদেরই নেওয়া হোক। কারণ তাঁরা পেটের দায়ে কাজ করলেও এই কাজে তাঁদের মন থাকবে না। তবে সূত্রের খবর, মেয়র জানিয়েছেন, সারা জীবন একই যোগ্যতায় ক্রিকেট খেলে যাওয়া সম্ভব নয়।♒ এক সময়ে যাঁরা ক্রিকেট অথবা ফুটবল খেলতেন তাঁদেরও জীবিকা নির্বাহের জন্য রোজগার করতে হয়। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের আইন বদল সম্ভব নয়।
কিন্তু এবার প্রশ্ন খেলার মাঠে যাঁরা ঝড় তুলতেন, তাঁরা বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করবেন এটা কি আদৌ প্রত্যাশিত? আর একটু অ🦄ন্য ধরন🦩ের পেশা কি তাঁদের জন্য বরাদ্দ করতে পারে না সরকার?