২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় ৬৭ জন ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ পেয়েছিলেন। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে হরিয়ানার একই কোচিং সেন্টারের ৬ জন। তবে গতকাল সুপ্রিম কোর্টে এনটিএ-র দেওয়া প্রস্তাবে মাথায় হাত তাঁদের। বাহাদুরগড়ের হরদয়াল পাবলিক স্কুলে পরীক্ষায় বসেছিলেন হরিয়ানার একই কোচিং সেন্টারের ৬ জন পরীক্ষার্থী। সেখানে পরীক্ষা শুরুতে দেরি হওয়ায় তাঁদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ১৪০ মার্কস পর্যন্ত গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। যার জেরে তাঁরা ৭২০ নম্বরে ৭২০ পেয়েছিলেন। তবে এনটিএ গতকাল সুপ্রিম কোর্টে জানায়, প্রায় ১৫০০ জন পড়ুয়াকে দেওয়া গ্রেস মার্কস তারা বাতিল করছে। তবে সেই সব পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষায় বসার বিকল্প দেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্𝄹য বড় খবর, GPF-এ সুদের হার নিয়ে করা হল নয়া ঘোষণা)
আরও পড়ুন: কলকাতা😼র নর্থ-সাউথ মে﷽ট্রো লাইনে আসছে বদল, বিবৃতি জারি করে জানাল কর্তৃপক্ষ
আরও পড়ুন: এবার ১০ দিন ধরে চলবে কাজ, বাতিল ১৬৬ লোকাল,🔯 ৬৪ এক্স﷽প্রেস ট্রেন, কবে থেকে দুর্ভোগ?
এই ৬ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা এক ছাত্রী এনটিএ-র সিদ্ধান্তের পর বলেন, 'আমি দশম এবং দ্বাদশের পরীক্ষায় আমার ক্লাসের টপার ছিলাম। আবার নিট💫 পরীক্ষায় এটা করেছিলাম, সেটা কোনও ম্যাজিক ছিল না। এনটিএ-র এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। আমরা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সাথে মজায় ছিলাম, শান্তিতে ছিলাম। এই খবর এখন দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে।' এদিকে ৭২০ পাওয়া অপর এক ছাত্র বলেন, 'এবার পরীক্ষায় বসে যদি আমি ৭২০ না পাই, তাহলে কী হবে? সমাজ আমার এবং আমার পরিবারের ওপরে হাসবে। এই প্রেসার এখন আমাকে খেয়ে নিচ্ছে ভিতর থেকে। এটা আমার পড়াশোনার ওপরেও প্রভাব ফেলবে।'
আরও পড়ুন: আর ৪% নয়, এবারে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল ১০ শতাংশ, 🦹জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন যে এবার নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়ম হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে। এই আবহে নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির থেকে জবাব চেয়েছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপত♎ি বিক্রম নাথ এবং বিচার🌜পতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চ। গ্রেস মার্কসের বিষয়ে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়, দেশজুড়ে ২৪ লাখ নিট প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি কর্মীদের পকেটে ঢুকবে বেশি বেতন, লাভ ৮০০০ পর্যন্ত, 𝄹একনজরে হিসেব
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে পটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর রাজস্থানের প্রার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। যদিও ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনটিএ। সেখানেই অবশ্য বিতর্কে ইতি পড়েনি। এবার ৬৭ জন প্রথম স্থানাধিকারী হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত হরিয়ানার একটি পরীক𝓰্ষাকেন্দ্র থেকে ছ'জন প্রথম হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেস মার্কস দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বহু পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ অনেকেই ৭১৯ বা ৭১৮ নম্বর পেয়েছিলেন। তবে নিট পরীক্ষার মার্কিং নিয়মে তা সম্ভব নয়। আদতে ৭২০ নম🃏্বরের পরে প্রাপ্ত নম্বর ৭১৬ নম্বর বা ৭১৫ নম্বর হতে পারে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গ্রেস নম্বর ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।