পরীক্ষার আগেই নিট প্রশ্নপত্র হাতে আসার কথা স্বীকার করল বিহারের এক পরীক্ষার্থী। সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের হাতে ধৃত অনুরাগ যাদব নামক এক পরীক্ষার্থী জেরায় জানিয়েছেন, ৪ মে রাতে তাঁর আঙ্কেল তাঁকে অমিত আনন্দ এবং নীতীশ কুমার নামক দু'জনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে নিট-এর প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র দেওয়া হয়েছিল। সারা রাত বসে আমাকে সেই উত্তরপত্র মুখস্ত করতে বলা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত অনুরাগ সমস্তিপুরের বাসিন্দা। সে কোটা থেকে সমস্তিপুরে ফিরেছিল নিট পরীক্ষায় বসার জন্য। এদিকে অনুরাগের আঙ্কেল একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র। এদিকে অনুরাগের বয়ানের অমিত আনন্দ পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র সিকন্দরের সঙ্গে মিলে সে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ষড়যন্ত্র করেছিল। ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা দরে সে এক এক পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল। এদিকে এই ঘটনায় আয়ুষ নামক এক পরীক্ষার্থীর বাবা অখিলেশও গ্রেফতার হন। তিনিও প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করেন। এদিকে অনুরাগের মা রীনাদেবীও প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করেন পুলিশি জেরায়। (আরও পড়ুন: নিজ্জরকাণ্ডে নীরবতা প﷽ালন কানাডা সংসদে, জবাবে ৮৫'র খলিস্তানি হামলা𒁃 মনে করাল ভারত)
আরও পড়ুন: এবඣার সামনে এল বিস্ফ🐎োরক তথ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে নয়া মোড়
আরও পড়ুন: কর্মী🍸দের ৮ লাখ পর্যন্ত ইনসেন্টিভ দেবে ভারতের এই IT সংস্থা, তবে আছে শর্ত
এদিকে বুধবার বিহার পুলিশের থেকে নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে নিট বাতিলের দাবি উঠেছিল। তবে প্রাথমিক ভাবে সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তবে বিগত কয়েকদিনে একাধিক তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার নড়েচড়ে বসেছে। বিহারের থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই এই নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাববে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল গভীর রাতে ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নিট-ইউজি পরীক্ষা বাতিলের দাবি আরও জোরালো হয়েছে তারপরে। এদিকে নিট বাতিল নিয়ে এখনও কিছু না বললেও কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট কপে দিয়েছে, এই ঘটনায় যেই দোষী হয়ে থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এর আগে এই সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে। এনটিএ এবং কেন্দ্রীয় সরকার, উভয়কেই নোটিশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। (আরও পড়ুন: সরকারি পদক্ষেপ নিয়⛎ে উদ্বেগ, ২৫০০০ কোটির IPO আনার আগে সতর্কবার্তা হুন্ডাই-এর)
আরও পড়ুন: সবুরে মেওয়া ফলে, ডিএ-বেতন নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন CM, 💙জানালেন সরকারি কর্মীরাই
উল্লেখ্য, এর আগে জানা যায়, তল্লাশি চালিয়ে বিহার পুলিশের তদন্তকারীরা ৬টি পোস্ট ডেটেড চেক উদ্ধার করেছেন। তা থেকে জানা গিয়েছে, নিটের তথাকথিত প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্যে পরীক্ষার্থী পিছু ৩০ লাখ টাকা করে নিয়েছিল মাফিয়া গোষ্ঠী। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ইওইউ) মানবজিৎ সিং ধিলোঁ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই চেক উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'তদন্ত চলাকালীন, গোয়েন্দারা ছয়টি পোস্ট-ডেটেড চেক উদ্ধার করেছে। পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার জন্যে সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল।' রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া চেকগুলির সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, নিট প্রশ🍨্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউইনিট এখনও পর্যন্ত চার পরীক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্য সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ১৩ জনই বিহারের। এছাড়াও বিহারের সাতজন এবং উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের একজন করে প্রার্থীও বিহার পুলিশের নজরে আছে।