নিটের র🎉েজাল্ট বিতর্কে এনটিএয়ের যুক্তিতেও আশ্বস্ত হলেন না প্রার্থী ও শিক্ষকদের একাংশ। বরং সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (NEET-UG) রেজাল্ট নিয়ে আয়োজক সংস্থা 'ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি'-র (এনটিএ) তরফে যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটার কার্যত কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন তাঁরা। আর নি🎃টের রেজাল্ট নিয়ে এবার যা হল, তাতে আয়োজক সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বিষয়টিতে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন এবং 'প্রধানমন্ত্রী' নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে। তবে অনেকেই একধাপ এগিয়ে সরাসরি অভিযোগ করেছেন, নিটের প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, সেটা এখন পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ আগেই খারিজ করে দিয়েছে এনটিএ।
NEET-র রেজাল্ট নিয়ে কী কী বিতর্ক হয়েছে?
এবার সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় ৬৭ জন প্রার্থী এক নম্বর স্থান (৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়েছেন) অধিকার করেছেন। কীভাবে এতজন পরীক্ষার্থী প্রথম হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ত𝓡ুলেছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে সেটা ছাপিয়েও যে প্রশ্নটা উঠেছ, তা হল যে কীভাবে নিটে ৭১৯ নম্বর বা ৭১৮ নম্বর পেতে পারেন প্রার্থীরা? কারণ যে ধাঁচে নিট পরীক্ষা হয়, তাতে সেটা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: UPSC Topper Inspiring Stor🐼y: মায়ের জন▨্য টপার হতে চেয়েছিলেন, আজ UPSC সেকেন্ড হয়েও জননী পাশে নেই
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে নীতীন বিজয় নামে এক শিক্ষক বলেছেন, 'এনটিএয়ের ༒রেজাল্টে গলদ আছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা সেটা দু'বার যাচাই করেও দেখেছি। কারণ কোনও কোনও প্রার্থী ৭১৮ নম্বর বা ৭১৯ নম্বর পেয়েছে। ৭১৮ বা ৭১৯ নম্বর কীভাবে পাওয়া যেতে পারে? ৭২০-তে ৭২০ উঠতে পারে। কে🔥উ যদি একটা প্রশ্ন ছেড়ে দেয়, তাহলে তার ৭১৬ নম্বর উঠবে। যে ওই প্রশ্নের উত্তর ভুল দিলে সে ৭১৫ নম্বর পাবে। অর্থাৎ ৭২০-র পরের নম্বর হতে পারে ৭১৬ বা ৭১৫। আমার মতে, কোনও গলদ আছে। এনটিএয়ের ফের খতিয়ে দেখা উচিত। কোনও গড়বড় থাকলে পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।'
NTA-র যুক্তি
সেই বিতর্কের মধ্যেই এনটিএয়ের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় সময় নষ্ট হয়ে যাও🌳য়া নিয়ে পরীক্ষার্থীদের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হয়। আর 'নর্মালাইজেশন ফর্মুলা' ব্যবহার করা হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হয়েছিল। সময় নষ্টের বিষয়টি হিসাব করা হয়েছে এবং ওরকম প্রার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। তাই এবার নিট পরীক্ষায় ৭১৮ বা ৭১৯ নম্বর উঠেছে বলে🌸 দাবি করেছে নিটের আয়োজক সংস্থা।
'হরিয়ানার একটি সেন্টার থেকেই প্রথম হয়েছেন ৬ জন', কীভাবে?
যদিও সেই যুক্তিতে একেবারেই আশ্বস্ত হননি শিক্ষক এবং প্রার্থীদের একাংশ। তাঁরা নিটের রেজাল্টের আরও একটি বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। নিটের যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ৬২ নম্বর থেকে ৬৭ নম্বরের মধ্যে থাকা পড়ুয়াদের নাম চিহ্নিত করে অভিযোগ করা হয়েছে যে হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেই ছয়জন প্রথম স্থানাধিকারী হয়েছেন। তাঁদের রোল নম্বরের একটা বড়🦹 অংশ একই। কিছুটা হেরফের আছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, ওই ঘটনা থেকেই ইঙ্গিত মিলছে যে নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই বলেছেন যে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত এনটিএয়ের। নিটের মতো পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হলে সেটা মোটেও ভালো বার্তা যাবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার বিষ♉য়টি আগে খারিজ করে দিয়েছিল এনটিএ।