ধর্মঘটে বিশ্ব🦂ের অন্যতম বড় সংবাদপত্র 'নিউ ইয়র্ক টাইমসে'র কর্মীরা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু না হওয়ায় ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে কর্মী সংগঠন 'নিউজগিল্ড'।
সাংবাদিক সংগঠনের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে গত ২ বছরে সেভাবে বেতন বৃদ্ধি হয়নি। এমতাবস্থায় অন্তত ১০% বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি সম্ভব হবে,✃ এমন কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়ারও 🌸দাবি তোলা হয়েছে।
কিন্তু গিল্ডের সেই দাবি দাওয়ার সঙ্গে একমত নন নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তারা। তাঁরা আপাতত ৫% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধিতে রাজি। পরবর্তী বছরগুলিতে ৩-৪% করে বাড়াতে চান। তাতে রাজি হননি কর্মীরা। আ𝓰রও পড়ুন: আমেরিকায় India ꦚDay প্যারেডে যোগীর ছবি দেওয়া বুলডোজার,কী লিখছে New York Times?
একটি টুইটে, নিউজগিল্ড লিখেছে, ‘নিউ ইয়র্ক টাইমসের ১১০০ জনেরও বেশি কর্মী কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। গত ৪ দশকে এই প্রথম এত বড় কর্মবিরতি। নিজের পছন্দের কাজ করতে অস্বীকার করাটা মোটেও কোনও সহজ বিষয় নয়। তবꦉে একটি ভা🌄ল সাংবাদিকতার পরিবেশ পেতে যা যা করণীয়, তা করতে আমাদের সদস্যরা প্রস্তুত।’
গোটা বিশ্বের মতোই নিউ ইয়র্ক টাইমসও খবরের কাগজের ব্যবসা থেকে অন্য ধরনের ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছে। তাদের ডিজিটাল মাধ্যম, অর্থাত্ ওয়েবসাইট বিশ্বের জনপ্রিয়তম নিউজ পোর্টালগুলির মধ্যে অন্যতম। সেই পোর্টালের সাবস্ক্রিপশন বাবদ মোটা টাকা আয় হয় সংস্থার। শুধওু তাই নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বিভিন্ন অ্যাপ, ম্যাগাজিন, জনপ্রিয় গেম, পডকাস্ট ইত্যাদি অধিগ্রহণ করেছে। সবকটি একসঙ্গে মিলিয়ে সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করে তারা। ক্রমেই বাড়ছে সেই গ্রাহকের সংখ্যা।
এমতাবস্থায় সংস্থার আয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন কর্মীরা। শুধু সাংবাদিক নন, সংস্থায় প্রযুক্তিবিদ, কোডিং বিশেষজ্ঞ, ওয়েবসাইট নির্মাতা, ডিজাইনারের মতো বহু কর্মী কাজ করেন। কর্মী সংগঠনের প্রায় ১,১০০▨ জন সদস্য এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সংস্থা যেন দ্রুত তাঁদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা থেকে ধর্মঘটে গিয়েছেন কর্মীরা। এদিন টাইমস স্কোয়ার পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের রাস্তায় এক প্রতিবাদী মিছিলেও হাঁটবেন তাঁরা। আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে নিউ ইয়র্ক টাইমস স্কোয়ারে জাতী🅰য় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রবাসীরা