২০১৪ সালের টেট দুরꦬ্নীতি নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। সেই পরিস্থিতিতে ওই বছর টেট উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, তা𝓀ঁদের থেকে যাবতীয় নথি চেয়েছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কী কী নথি রেখে দিতে হবে, তা দেখে নিন -
১) অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের প্রতিলিপি।
২) জয়েনিং রিপোর্টের প্রতিলিপি।
৩) ২০১৪ সালের ট♑েটের অ্যাডমিট কার্ডের প্ౠরতিলিপি।
৪) ২০১ﷺ৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হওয়ার নথির ♒প্রতিলিপি।
৫) দশম, দ্ﷺবাদশ শ্রেণি-সহ যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কশিট, সার্টিফিকেট এবং অ্যাডমিট কার্ডের প্রতিলিপি।
৬) প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশি🧜ট ও সার্টিফিকেট বা বি.এডের অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট এবং সার্টিফিকেটের প্রতিলিপি।
৭) জাতিগত শংসাপত্রের প্রতিলিপি।
৮) পার্শ্ব-শিক্ষক হিসেবে কাজের চিঠির প্রত෴িলপি (যদি কেউ করে থাকেন)।
৯) বিশেষভাবে সক্ষম, এক্স-সার্ভিসম্য♈ানের মতো সংরক𒊎্ষণের আওতায় থাকলে সেই সংক্রান্ত প্রতিলিপি।
১০) ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যে কোনও নথি।
২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি মামলা
২০১৪ সালের নিয়োগের🎉 বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরের বছর ১১ অক্টোবর টেট হয়েছিল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম মেধাতালিকা প্রক🦹াশ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়েছিল দ্বিতীয় মেধাতালিকা। সেই দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন রমেশ আলি।
তিনি দাবি করেন, দুর্নীতির জনꦡ্য দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক এবং তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
তারইমধ্যে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে হাইকোর্ট। চলতি মাসের শুরুতে পর্ষদের আইনজীবী জানান, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ১৬৯ জনকে অত♏িরিক্ত এক নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। সেই নম্বরের ভিত্তিতে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। তারপরই তাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্ꦡগোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে।
সেই রিপোর্টে পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২৬৯ নয়, মোট ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কেন নম্বর বাড়ানো হয়েছিল? পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, একটি প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। সেজন্য এক নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। ভুল প্রশ্ন নিয়ে মোট ২,৭৮৭ টি আবেদন জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত ছিলেন। তাই তাঁদের বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়ꦫেছিল। মোট ১৮ লাখ প্রার্থী অনুত্তীর্ণ হলেও তাঁদের খুঁজে বের করা সম্ভব ছিল না। তাই যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদেরই বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল।সেই পরিস্থিতিতে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে মানিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জা𒅌ল নথি পেশের দায়ে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।