দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার সুপ্রিম কোর্টও কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ বহাল রাখল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কাউন্সেলিং বন্𒅌ধ করা যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশন কাউন্সেলিং চালিয়ে যেতে পারবে। তবে নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দিলে তা চ্যালেঞ্জ করা যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আসাউদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সিলিংয়ের প্রথম দিনে সম্মতিপত্র 𓃲পেলেন ২৬৬ জন,🎀 অনুপস্থিত ৩৫
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক প্রাথমিকে শিক্💎ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। তিন বছর পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশ হয়েছিল মেধা তালিকা। তবে সেই তালিকায় অস্বচ্ছত🙈ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কয়েকজন প্রার্থী। সেই মামলায় ২০২০ সালে মেধাতালিকা বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। পরে আবারও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম মেধাতালিকায় ৯ হাজার প্রার্থীর নাম ছিল। কিন্তু, নানা কারণে এদের কাউন্সেলিং হয়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় কাউন্সেলিং করলে এখনও কাউকে রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশ পত্র দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার বদলে তাদের সম্মতি পত্র দিতে হবে। এছাড়াও পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়। তবে এই নির্দেশের পরে কয়জন প্রার্থী সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
তাদের দাবি ছিল, প্রথম মেধাতালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের অনেকের নাম দ্বিতীয় প্যানেল থেকে বাদ গিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্যানেল তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে তারা অভিযোগ তোলেন।♋ সেই আবেদন জানিয়ে ৩৫ জন প্রার্থী মামলা করেন শীর্ষ আদালতে।আজ মঙ্গলবার আদালতে সেই মামলার শুনানি শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে কাউন্সেলিংয়ে কোনও অসুবিধা নেই। এ প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। তবে নিয়োগ নিয়ে কোনও নির্দেশ দিলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পরেই যে সমস্ত প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হয়েছে তাদের দেওয়া হয়েছে সম্মতিপত্র। যার মধ্যে একটি প্রতিলিপি থাকছে প্রার্থীর কাছে এবং অন্যটি থাকছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে।