লকডাউন শেষে সেমিস্টার পরীক্ষাগুলি কী ভাবে নেওয়া হবে, সে বিষয় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরকার তাদের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানালেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাঁকে জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই ফ্যাকাল্টি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সেমিস্টার পরীক্ষা করার জন্য কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন "বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের অনুমোদিত কলেজগুলি খোলার দিন এবং চূড়ান্ত সেমিস্টার পরীক্ষা পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।মন্ত্রী বলেন, COVID-19এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উপস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের বিষয়গুলি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।উপাচার্যরা সেমিস্টার এবং অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার বৈঠক করেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তাদের সুপারিশ সম্পর্কে উচ্চশিক্ষা বিভাগকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।পশ্চিমবঙ্গের উপাচার্য কাউন্সিল-এর সাধারণ সম্পাদক সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন ।শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মোট ক্ষতি হয়েছে ৪০ কোটি টাকা।তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে ক্যাম্পাসের যে সব জায়গায় গাছ কমে গিয়েছে, সেখানে গাছ লাগানোয় উৎসাহিত করবে রাজ্য সরকার।