༺ টেস্টে অফ-স্পিনারদের বিরুদ্ধে যেমন বারবার আউট হতে দেখা গিয়েছে বিরাট কোহলিকে, ঠিক তেমনই সম্প্রতি পেসারদের অফ-স্টাম্পের বাইরের নির্দিষ্ট একটি করিডোরের বল সামলাতেও মুশকিলে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের দু'টি ইনিংসে বিরাটের দু'টি দুর্বলতার দিক ধরা পড়েছে।
🥀চিপকের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদের অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের ফুল লেনথ ডেলিভারির কিনারা করতে পারেননি। যদিও ব্যাটে লাগা সত্ত্বেও কোহলি কেন এলবিডব্লিউ-র সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়েন, সেটা বোধগম্য হয়নি ক্রিকেটপ্রেমীদের।
🍒দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন নিশ্চিত। তবে আপাতত চেন্নাই টেস্টের দুই ইনিংসে কোহলির ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ৬ ও ১৭ রান। সেই নিরিখে এটা বলা মোটেও ভুল হবে না যে, চিপকে ব্যাট হাতে পরিচিত ছন্দে ধরা দিতে পারেননি বিরাট।
🐻স্বাভাবিকভাবেই কানপুরের দ্বিতীয় টেস্টে কোহলি রানে ফিরতে মরিয়া। গ্রিন পার্কে সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। তবে আনকোরা নেট বোলারের চার ওভারে বিরাটের দু'বার আউট হওয়ার বিষয়টিই দুশ্চিন্তায় রাখছে ভারতীয় সমর্থকদের।
ꦜগতি এমন কিছু বেশি নয়, আসলে লখনউয়ের ২২ বছর বয়সী পেসার জামশেদ আলম বিরাটকে দু'বার আউট-সুইংয়ে পরাস্ত করেন। এনডিটিভি-কে জামশেদ নিজেই জানান সেই কথা। তিনি বলেন, ‘আমি বিরাট কোহলিকে ২৪টি বল করি। আমার গতি ছিল ১৩৫ কিলোমিটার মতো। আমি দু’বার কোহলিকে আউট করি।'
🌄জামশেদ আরও বলেন, ‘কানপুরের পিচে সাধারণত স্পিনাররা সাহায্য পায়। তবে প্র্যাক্টিস পিচে পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল। কোহলি আমাকে বলেন, ‘ভালো বল করেছ ভাই। বয়স কত? আমি বলি ২২ বছর। তখন আমাকে বলেন, পরিশ্রম করতে থাকো। কোহলিকে আউট করার ঘোর কাটছে না আমার।’
🍸উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জামশেদ আলম ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের কাছে নিতান্ত অপরিচিত নন। আসলে তিনি আইপিএলে কেকেআরের নেট বোলারের ভূমিকা পালন করেছেন আগে। অভিষেক নায়ারের চোখে পড়েই নাইট রাইডার্সের অন্দরমহলে ঢুকে পড়েন জামশেদ। এখন নায়ার ও গম্ভীর জাতীয় দলের কোচ। জামশেদকে সেই সুবাদেই ভারতীয় দলের নেট বোলারের ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বল মনে করা হচ্ছে।