ক্রিকেটের পিচ প্রথমে ব্যাটার ও বোলারের মধ্যে কুস্তির ম্যাটে পরিণত হয়, পরে বক্সিং রিংয়ে। দুই ক্রিকেটারের হাতাহাতির পরে কিল-চড়-ঘুষির প্রতিযোগিতায় নামেন দু'দলের বাকি ক্রিকেটাররাও। ব্যাট উঁচিয়ে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারকে মোক্ষম ঘা দিতেও দেখা যায় অন্য🌳 দলের এক খেলোয়াড়কে। সব মিলিয়ে এমসিসি উইকডেজ ব্যাশ এক্সআইএক্স ফাইনাল পরিণত হয় রীতিমতো রণভূমিতে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বেগতিক বুঝে দুই আম্পায়ার এক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালꦍন করেন। যা ঘটছে তা তাঁদের স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক হতে পরে বুঝেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখাই শ্রেয় বলে মনে হয় তাঁদের। অবশ্য একবার কাছে গিয়ে ক্রিকেটারদের মিষ্টি কথায় লড়াই থেকে বিরত থাকার অনুরোধ 🌃করেছিলেন আম্পায়াররা। তবে পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল সন্দেহ নেই।
এমসিসি উইকডেজ ব্যাশ এক্সআইএক্স-এর ফাইনাল ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে অ্যারোভিসা ক্রিকেট ও রাবদান ক্রিকেট ক্লাব। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩তম ওভারে ঘটে এমন লজ্জাজনক ঘটনা। ১২.৬ ওভারে রাবদানের ব্যাটার কাশিফ মহম্মদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে জড়ান অ্যারোভিসার বোলার 🤡নাসির আলি।
আম্পায়ার আঙুল তোলার পরে সাজঘরে ফিরতে উদ্যত ꦯহন ব্যাটার। তিনি ৫ বলে ৮ রান করে মাঠ ছাড়ছিলেন। তবে বোলার ততক্ষণে ব্যাটারের ঠিক সামনে এসে হম্বিতম্বি করতে থাকেন। ব্যাটারকে অত্যন্ত উদ্ধতভাবে আঙুল দেখিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন নাসির। তীব্র এই কটাক্ষের পরেই বোলারের দিকে ঘুরে দাঁড়ান কাশিফ। শুরুܫ হয় তর্ক।
ইতিমধ্যে বোলার নাসির কাশিফকে হাত দিয়ে ঠেলে দিলে শুরু হয়ে যায় মল্লযুদ্ধ। ব্যাটার ও বোলারকে পিচের উপরে শুয়ে কার্যত কুস🏅্তি করতে দেখা যায়। ততক্ষণে অ্যারোভিসার বাকি ফিল্ডাররাও চলে আসেন কাছে। কাউকে লড়াই থামানোর চেষ্টা করতে দ⛄েখা যায় তো কেউ আবার লড়াইয়ে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:- ইউরোপা লিগে আটকাল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, EFL কাপে গোলের বন্যা আর্সেনাল-লিভার𒅌পুলের
নন-স্ট্রাইকার ব্যাটারও দল ভারি করার চেষ্টা করেন সতীর্থ কাশিফের পাশে দাঁড়িয়ে। বেশ কয়েক দফায় যুযুধান 🐻ক্রিকেটারদের ক্ষান্ত করার চেষ্টা করা 𓆉হয়। তবে মারামারি থামানো সহজ ছিল না। এক ফিল্ডারকে ইতিমধ্যে মাঠে পড়ে থাকা ব্যাট তুলে পালটা ব্যাটারের শরীরে আঘাত করতেও দেখা যায়। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় ম্যাচে।
যদিও ꧒ক্রিকেটের মাঠে এমন ঘটনা নিতান্ত বেনজির নয়। এর আগে বাংলাদেশের সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে দু'দলের মধ্যে এমনই হাতাহাতি দেখা যায়। যার ফলে মাঝপথেই টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দিতে হয় আয়োজকদের।