অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপে সুপার আটের গ্রুপ ওয়ানের লড়াই জমিয়ে দিল আফগানিস্তান। পুরো সমীকরণটাই ওলটপালট করে দিলেন রশিদ খানরা। এখন গ্রুপ ওয়ানের যা অবস্থা, তাতে♉ শেষ ম💦্যাচের উপরই নির্ভর করবে চার দলের সেমিফাইনালে যাওয়ার ভাগ্য।
ভারত ২টি ম্যাচ খেলে ২টিতেই জিতেছে। তা বলে, চার পয়েন্ট নিয়ে তারাও যে সেমির জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে এমনটা নয়। কারণ এখনও চার পয়েন্টে পৌঁছতে পারে অস্ট্রেলিয়া এবওং আফগানিস্তান। দুই দলই ২টি করে ম্যাচ খেলেছে। দুই দলের পয়েন্ট দুই করে। এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারত-অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান-বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে। এই গ্রুপে একমাত্র বাংলাদেশই দুই ম্যাচ খেলে ২টিতেই হেরেছে। তাদের ভাঁড়ার শূন্য। গ্রুপের শেষ ম্যাচে অজিরা যদি ভারতকে হারায় এবং আফগানরা হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে, তবে তিন দলের পয়েন্ট হবে চার করে। সেক্ষেত্রে নেট রানরেট বড় ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: ক্রিজে এসে প্রথম বলে ছয় মেরে, পরের বলেই আউট- গাপ্✨তিলের হতাশার নজির ছুঁলেন সূর্য
আফগানিস্তান এদিন অজিদের হারিয়ে ইতিহাস লিখে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়ের রেকর্ড করেছেন রশিদ খানরা। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে ভারতীয় সময়ে রবিবার সকালে চলতি টি২০ 🔥বিশ্বকাপের ꦿসুপার আটের ম্যাচে আফগানিস্তান ২১ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয়। এর আগে তারা অজিদের কাছে ৪টি ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল। কিন্তু এবার ইতিহাস বদলে দিল রশিদের দল।
টস জিতে প্রথমে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ব্যাট হাতে কিন্তু শুরুটা দুরন্ত করেন দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। তাঁরা প্রথম উইকেটে ১৫.৫ ওভারে ১১৮ রান তুলে ফেলেন। চারটি করে চার এবং ছক্কার হাত ধরে গুরবাজ ৪৯ বলে ৬০ রান করেন। ইব্রাহিম জাদরান আবার ৪৮ বলে ৫১ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চার। কিন্তু এই দুই ব্যাটারের বাইরে আর কেউ রান করতেই পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান করেন করিম জানাত। ৪ বলে💯 ১০ করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ নবি।
আরও পড়ুন: ছয়ে নেমে হাফসেঞ্চুরি হার্দিকের,প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ✱গড়ল🐬েন বড় রেকর্ড, ভাঙল ধোনির নজির
বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি। গুরবাজ সাজঘরে ফেরার পর, শেষ ২৫ বলের মধ্যে আরও ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে। এদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফের হ্যাটট্রিক করেন প্যাট কামিন্স। তিনি ১৮তম ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন রশিদ খানকে। ২০তম ওভারে বল করতে এসে প্রথম দুই বলে আউট করেন করিম জানাত এবং গুলবাদিন নায়েরকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করলেন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিকের নজির গড়ে ফেলেন কামিন্স। এছাড়া ২টি উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা এবং এক 🌼উইকেট নিয়েছেন মার্কাস স্টইনিস।
রান তাড়া করতে নামলে অজি ব্যাটারদের কাঁদিয়ে ছাড়েন নবীন উল হক, গুলবাদিন নায়েবরা মিলে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছাড়া বাকিরা কেউ খেলতেই পারেননি। ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১২১ রানেই অলআউট হয়ে যায়। ওপেন করতে নেমে নিরাশ করেন ট্র্যাভিস হেড (৩ বলে ০), ডেভিড ওয়ার্নার (৮ বলে ৩)। তিনে নেমে ব্যর্থ মিচেল মার্শও (৯ বলে ১২ রান)। চারে নেমে একমাত্র গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪১ বলে ৫৯ রান করেন। হাঁকান ছ'টি চার, তিনটি ছক্কা। ম্যাক্সি এবং মার্শ ছাড়া, এর বাইরে দুই অঙ্কের ঘরে কোনꦛও মতে পৌঁছান মার্কাস স্টইনিস। ১৭ বলে ১১ করেন তিনি। এর বাইরে বাকিরা এক অঙ্কের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। ২১ রানে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি হেরে সেমিতে যাওয়ার অঙ্ক জটিল করে ফেলল। আফগানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার গুলবাদিন নায়েব। ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। নবীন আবার ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মহম্মদ নবি এবং রশিদ খান।