বাউন্ডারি লাইনের ঠিক সামনে শূন্যে ভেসে অবিশ্বাস্য কায়দায় ক্যাচ ধরলেন অক্ষর প্যাটেল। ক্যাচটা ধরার সময় একেবারে ধনুকের মতো বেঁকে ছিল তাঁর শরীর। আর সেই অবিশ্বাস্য ক♎্যাচের ভিডিয়ো এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অক্ষর কীভাবে ওরকম একটা ক্যাচ ধরলেন, সেটা ভেবে উঠতে পারছেন না অনেকেই। স্রেফ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। আর সত্যিই মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ারই কথা। কারণ এসব ক্যাচের কোনও ব্যাখ্যা হয় না। স্রেফ দু'চোখ দিয়ে দেখতে হয়। আর স্যালুট জানাতে হয় ফিল্ডারকে।
নির্ঘাত ছক্কা মনে হয়েছিল মিলারের শটে!
অথচ সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৫.৫ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার শর্ট বলে যখন ব্যাটটা চালিয়েছিলেন ডেভিড মিলার, তখন মনে হয়েছিল যে নির্ঘাত ছক্কা হতে চলেছে। অফস্টাম্পের বাইরে শর্ট বল করেন হার্দিক। লোপ্পা বল পেয়ে ডিপ মিড উইকেটের দিকে পুল করেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ♊ব্যাটার। বলটা প্রবল গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে বাউন্ডারির দিকে। একটা সময় মনে হয়েছিল যে বলটার নাগালই পাবেন না অক্ষর।
মাথার উপর থেকে ছোঁ মেরে বল ধরেন অক্ষর
কিন্তু বাস্কেটবল তারকাদের মতো শূন্যে ঝাঁপিয়ে অব♚িশ্বাস্য কায়দায় অক্ষর ক্যাচটা ধরে নেন। বলটা ধরার সময় মাটি থেকে অনেকটা উঁচুতে ভেসেছিলেন ভারতীয় তারকা। আর সেভাবেই মাথার উপর থেকে ছোঁ মেরে বলটা ধরে নেন। তারপর যখন মাটিতে পা ফেলেন, তখন যাতে বাউন্ডারি লাইন ছুঁয়ে না ফেলেন, সেজন্যও অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। শেষপর্যন্ত বাউন্ডারি লাইনের অনেকটা আগেই ক্যাচটা ধরে নেন ভারতের তারকা ফিল্ডার।
আর সেই ক্যাচটা অত্যন্ত গুরুত🅘্বপূর্ণও ছিল। কারণ মিলার যখন আউট হন, তখন ২৬ বলে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ৭৬ রান দরকার ছিল। প❀্রাথমিকভাবে মিলার কিছুটা সমস্যায় পড়লেও ১৬ তম ওভারের চতুর্থ বলে একটা ছক্কা মেরে ছন্দ পেয়ে যান। ঠিক সেইসময় মিলার আউট হয়ে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ভারত।
১১ রানে জিতল ভারত
যদি✤ও সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। কারণ মিলারের পরে ব্যাট করতে নামা মার্কো জানসেন বেধড়ক মারতে থাকেন। ১৭ বলে ৫৪ 💞রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কার্যত হারা ম্যাচে জিতিয়ে দিচ্ছিলেন জানসেন। মারেন চারটি চার। হাঁকান পাঁচটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ৩১৭.৬৪।