বিহারের ছোট্ট গ্রাম সাসারাম থেকে উঠে এসে ভারতীয় ক্রিকেট দলে জায়গা করে নিয়েছেন পেসার আকাশ দী꧋প। বেশ কয়েকবছর খেলছেন বাংলা দলের হয়ে। মুকেশ কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে রঞ্জিতে বাংলাকে নিয়ে গেছেন ভালো জায়গায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও সুযোগ পেয়ে𓃲ছিলেন তিনি। সামনে রয়েছে বাংলাদেশ সিরিজ, সেখানেও সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে চান এই স্পিডস্টার। ২০০৭ সালে গোটা গ্রাম টিভি ভাড়া করেছিল টি২০ বিশ্বকাপ দেখবে বলে, আর তাঁর ১৬ বছর পর আকাশের মা-দিদি ছুটে রাঁচিতে এসেছিল ছেলের ভারতীয় দলে অভিষেক দেখার জন্য।
আরও পড়ুন-'ܫকি ভাগ্যিস! ওটা আমার শেষ ম্যাচ ছিল, নাহলে ছেলেরা আমায়',কোন ভুলের কথা দ্রাবিড়ের গলায়?
আকাশদীপ বলছেন, ‘যখম আমরা ছোট ছিলাম তখন ক্রিকেট নিয়ে কথা বললেই গ্রামে সবাই বলতে, খেলা কাউকে খাওয়ায় না। আমাদের ওখানে এমন কিছুই হয়নি যেটা বড় নিদর্শন হিসেবে তৈরি হবে। সেরকম কোনও মাঠ নেই পরিকাঠামো নেই। কিন্তু আমি যখন টেস্টে অভিষেকের পর গ্রামে ফিরলাম, দেখলাম বাচ্চারা ক্রিকেট খেলছে, বাবা-মাও তাঁদের উদ্বুদ্ধ করছে। এর থেকে বেশি আর কি চাইতে পারি আমি? আমার জন্য অরূণ লাল অনে✅ক কিছু করেছে। মাঝে মধ্যে জীবনে এমন কিছু মানুষ আসে যারা জীবন বদলে দেয়। বিশেষ করে যখন নিজের ওপর থেকেই বিশ্বাস উঠতে শুরু করে। আমায় বলেছিল আমার মধ্যে সেরা হওয়ার দক্ষতা আছে, বিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছিল আমার নিজের ওপর। আমি আগে ১৩০ কিমির গতিতে বোলিং করতাম। ওনার পরামর্শেই বুঝতে শিখি যে হাঁফিয়ে না গিয়েও টানা বড় স্পেল করতে পারব আমি’ ।
আরও পড়ুন-দলীপ ট্রফিতে লাল বলের ক্রিকেটে ফেরার আগ🦩ে আবেগঘন বার্তা পন্তের! বললেন কোনও আশা রাখছেন না!
সামনে বাংলাদেশ সিরিজ, সুযোগ পাবেন কি? প্রশ্নের উত্তরে বাংলা দলের হয়ে খেলা এই পেসার বলছেন, ‘আমি বেঙ্গল টি২০ লিগের পর থেকে আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে খেলিনি। জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় মাঠের ব🌃াইরে রয়েছে, টানা তিন সপ্তাহ বেড রেস্ট ছিল আমার। আমি যখন বোলিং করতে ফিরলাম তখন বুঝলাম শরীরের সময় লাগে পুরোনো ছন্দে ফিরতে। যতটা ইচ্ছা জিম করতে পারো, কিন্তু যতক্ষণ না বোলিং করা শুরু করছি ততক্ষণ বোলিংয়ের পেশীগুলো খোꦑলে না’।
আরও পড়ুন-বিশ্বক্রিকেটে ভারত-অস্ট্রেলিয়াই তো র🍌াজা! Border Gavaskar সিরিজের আগে 💧বললেন ম্যাক্সওয়েল
দলীপ ট্রফিতে লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের আগে তিনি বলছেন, ꦆ‘আমি লালবলের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখাতে চাইছি। কারণ টানা কি এক জায়গায় বল ফেলা যায়? যখন উইকেটে কিছু থাকে না, তখন বোলারদের ক্লান্ত করে দেয়। আমার তাই এখন ফোকাস টানা বোলিং করার দিকে। বড় স্পেলের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা দেখাতে চাই, যাতে রান না দিয়ে ফেলি। ফাস্ট বোলার হিসেবে অনেক কোচের সঙ্গেই আমি আলোচনা করি। টেস্টে উইকেট পেতে গেল পটভূমি তৈরি করতে হয়। সব ধরণের ক্রিকেটেই নতুন বলের গুরুত্ব রয়েছে। তাই ওই পাঁচ সাত মিটারের মধ্যেই বল করতে হয়,তাহলেই সাফল্য পাওয়া যায় ’।