উনিশতম ওভারে চার রান দিয়ে তিন উইকেট - আর্শদীপ সিংয়ের এক ওভারের সৌজন্যে ইতিহাস গড়ল পঞ্জাব। সোমবার ফাইনালে বরোদাকে ২০ রানে হারিয়ে প্রথমবার ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জিতল যুবরাজ সিং, হরভজন সিংদের রাজ্য দল। আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২২৩ রান তোলে পঞ্জাব। ৬১ বলে ১১৩ রান করেন আনমোলপ্রীত সিং। ২৭ বলে অপরাজ🅺িত ৬১ রান করেন নেহাল ওয়াধেরা। সেই রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল যে ক্রুণাল পান্ডিয়া ট্রফি জিতবেন। কিন্তু আর্শদীপের ১৯ তম ওভারই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সার্বিকভাবে ফাইনালে দুর্দান্ত বল করেন আর্শদীপ। যে ম্যাচের ৪০ ওভারে ৪২৬ রান উঠেছে, সেই ম্যাচে চার ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করেন তারকা বাঁ-হাতি তার🎀কা। নেন চারটি উইকেট।
পঞ্জাবের ইনিংস
আজ ফাইনালে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানে দু'উইকেট হারিয়ে ফেলে পঞ্জাব। ম্যাচের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান অভিষেক শর্মা। যিনি সৈয়দ মুস্তাক আলিꦜ ট্রফির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের ইনিংসের মেরামতির কাজ শুরু করেন আনমোলপ্রীত এবং অধিনায়ক মনদীপ সিং। যে মনদীপ কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) খেলেন। তাঁরা দু'জনে ৩.২ ওভারে দু'উইকেটে ১৮ রান থেকে পঞ্জবকে ১০ ওভারে ৮০ রানে নিয়ে যান। কিন্তু একাদশতম ওভারের প্র🔯থম বলেই আউট হয়ে যান মনদীপ (২৩ বলে ৩২ রান)।
তারপর পঞ্জাবকে টানতে থাকেন আনমোলপ্রীত এবং নেহাল। যত খেলা গড়াতে থাকে, তত হাত খুলতে থাকেন তাঁরা। শেষ চার ওভারে ৭৭ রান যোগ করেন। ৫৮ বলে শতরান পূরণ করেন আনমোলপ্রীত। ২৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন নেহাল। যিনি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন। শেষপর্যন্ত ২০ তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট 🐷হন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আনমোলপ্রীত। ৬১ বলে ১১৩ রান করেন। নেহাল ২৭ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। নেহাল ও আনমোলপ্রীতের জুটিতে ৫৮ বলে ১৩৮ রান যোগ হওয়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২২৩ রান তোলে পঞ্জাব।
আরও পড়ুন: SMAT 2023 Record: মুস্তাক আলির ফাইনালে ১১৩ র✃ান করে ইতিহাস SRH তারকার, আগে সেমিতেও কেউ করেননি শতরা𝔉ন
বরোদার ইনিংস
২২৪ রান 🐬তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরোদার। ১.২ ওভারেই প্রথম উইকেট পড়ে যায়। তারপর অবশ্য বেধড়ক মারতে শুরু করেন বরোদার ব্যাটাররা। ১.২ ওভারে পাঁচ রানে এক উইকেট থেকে ৭.১ ওভারে বরোদার স্কোর দাঁড়ায় ৭৫ রান। তারপর দ্বিতীয় উইকেট হারালেও পঞ্জাবের রক্তচাপ বাড়াতে থাকেন ক্রুণাল এবং অভিমন্যু সিং রাজপুত।
তাঁদের কাজটা আরও সোজা করে দেন পঞ্জাবের ফিল্ডাররা। একের পর এক ক্যাচ ফেলতে থাক🦂ে পঞ্জাব। আর সেই ‘উপহারের’ সুবাদে তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রান যোগ করে বরোদা। ১৬.৪ ওভারে অভিমন্যু (৪২ বলে ৬১ রান) আউট হয়ে গেলেও বরোদাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ক্রুণাল। সঙ্গ দিতে থাকেন বিষ্ণু সোলাঙ্কি। ১৮ ওভারে বরোদাকে ১৯১ রানে নিয়ে ক্রুণালরা।
আর তারপরই আসে আর্শদীপের সেই ওভার। প্রথম বলেই আউট করেন ক্রুণালকে (৩২ বলে ৪৫ রান)। পরের বলেই শিবালিক শর্মাকে ড্রেসিংরুমে ফেরান। পঞ্চম বলে ভানু পানিয়াকে আউট করেন। সবমিলিয়ে ১৯ তম ওভারে চার রান দিয়ে তিন উইকেট নেন বাঁ-হাতি পেসার আর্শদীপ। তার ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৯ রান দরকার ছিল বরোদার। সেটা আর তুলতে পারেনি। শেষপর𝔉্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২০৩ রানে থমকে যায়।