﷽ শুভব্রত মুখার্জি: ঋষভ পন্তের মতন আক্রমণাত্মক কিপার ব্যাটার চোটের কারণে দলে না থাকায় অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেছিলেন সমস্যায় পড়তে পারে ভারত। পরবর্তীতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটার ইশান কিশানের অনেকটা একধরনের ব্যাটিংয়ে আশ্বস্ত হয় সমর্থকরা। এশিয়া কাপের দলেও নির্বাচিত হয়েছেন ইশান কিষান। নির্বাচনের সময়েই প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের তরফে জানানো হয়েছিল যেহেতু কেএল রাহুলের হাল্কা চোট রয়েছে ফলে তাঁর ব্যাক আপ হিসেবে রাখা হচ্ছে ইশান কিষানকে। এশিয়া কাপ শুরুর আগে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়ে দেন ভারতের প্রথম দুটি ম্যাচে চোটের কারণে খেলা হবে না কেএল রাহুলের। সেই জায়গাতেই পাল্লিকেলেতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুযোগ দেওয়া হয় ইশান কিষানকে। সুযোগ পেয়েই দল যখন বেকায়দায় ছিল সেখান থেকেই এক অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের অক্সিজেন দিয়েছেন ইশান কিষান। আর এই ইনিংসের মধ্যে দিয়ে এক অনন্য নজির গড়ে ফেলেছেন তিনি।
ಌওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে ভারতের হয়ে পরপর চার ম্যাচে অর্ধশতরান করার নজির গড়লেন ইশান কিষান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সুরেশ রায়নাদের সঙ্গে এক তালিকায় নিজের নাম তুলে ফেললেন ইশান কিষান। ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই ইশান কিষান তার চারটি অর্ধশতরানের প্রথমটি করেন। ভারত সেই সময়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। আর আজ অর্থাৎ শনিবার ২ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে পাল্লিকেলেতে করলেন আরও একটি ফিফটি। অর্থাৎ পরপর চার ওয়ানডেতে চতুর্থ অর্ধশতরানটি করলেন ইশান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ২০০২ সালে। তাঁর প্রথম অর্ধশতরান এসেছিল ৩১ জানুয়ারি। আর চতুর্থ অর্ধশতরানটি এসেছিল ১০ মার্চ। সুরেশ রায়না এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ২০১৩ সালে। ১১ জানুয়ারি প্রথম অর্ধশতরান করার পরে ২৭ জানুয়ারি চতুর্থ অর্ধশতরান করেছিলেন রায়না। অর্থাৎ তিনজনের মধ্যে সবথেকে কম সময় নিয়েছিলেন সুরেশ রায়না। মাত্র ১৬ দিনে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি।
꧟এদিন পাল্লিকেলেতে একটা সময়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত মাত্র ৬৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদেরকে টেনে তোলেন ইশান কিষান এবং হার্দিক পান্ডিয়া। পঞ্চম উইকেটে ১৪২ বল খেলে তাঁরা যোগ করেন ১৩৮ রান। ইশান কিষান ৮২ রান করে আউট হয়ে যান। মাত্র ৮১ বল খেলে করেন ৮২ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল নটি চার এবং দুটি ছয়ে। পায়ে ক্র্যাম্প ধরার ফলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হন ইশান কিষান। হ্যারিস রউফকে পুল মারতে গিয়ে বল ব্যাটের তলার দিকে লেগে দিয়ে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।