🐭 এশিয়া কাপের আগে সুপার ফোর রাউন্ডের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৬ রানে হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। এই ম্যাচে অবশ্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট দলে ৫টি পরিবর্তন করেছিল। আর সেটাই ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন রবিবার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। অনেক তারকা খেলোয়াড় ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলতে এসেছে শ্রীলঙ্কা। তা সত্ত্বেও ফাইনালের টিকিট তারা জোগাড় করে নিয়েছে। তাও ডু ওর ডাই ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে শিরোপা জয়ের পথটা খুব একটা সহজ হবে না ভারতের কাছে।
🌜চোটের কারণে এশিয়া কাপেই খেলছেন না শ্রীলঙ্কার তারকা লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, ফাস্ট বোলার লাহিরু কুমারা, দুশমন্থ চামিরা এবং লাহিরু মধুশঙ্কা। এশিয়া কাপের আগে অসুস্থ ছিলেন কুশল মেন্ডিসও। তার করোনা হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের জন্য দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড়কে জায়গা করে দিয়েছে এবং সবাই এই সুযোগকে কাজে লাগাতে কোনও খামতি রাখেননি।
🎉আরও পড়ুন: Asia Cup-এর ফাইনালের আগেই ছিটকে গেলেন থিকশানা, পৌষমাস হল ভারতের
ಌভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছেন যে, তাঁর দল ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা ২০২৩ এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত। এটি হবে শ্রীলঙ্কার টানা দ্বিতীয় এশিয়া কাপ ফাইনাল। শানাকার দল ২০২২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টুর্নামেন্ট জিততে সমস্ত প্রতিকূলতাকে পরাজিত করেছিল। তবে গত বছর টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এশিয়া কাপ খেলা হয়েছিলষ
ওম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দাসুন শানাকা বলেছেন যে, তাঁর দল এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং ফাইনালের দিনই তাঁরা পিচ দেখে একাদশ বাছবেন। অধিনায়ক আরও যোগ করেছেন যে, ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে জয়ের জন্য প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারের উইকেট ফেলাটা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
🎃একজন আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক শানাকা ফাইনালের আগে বলে দিয়েছেন, ‘আমরা অবশ্যই পুরো প্রস্তুত।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘একাদশ নির্বাচন পুরোপুরি পিচের উপর নির্ভর করছে। টুর্নামেন্টে পিচগুলি একটি বড় ভূমিকা পালন করছে, তাই আমরা সেই অনুযায়ী দল বেছে নিচ্ছি। ভারতের বিরুদ্ধে বোলারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। আমাদের আগেই ভারতের শীর্ষ ব্যাটারদের উইকেট তুলে নিতে হবে এবং এতে খেলার রাশ আমাদের হাতে আসবে।’
ꩵতিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে শীর্ষে পৌঁছেছি। ছেলেরা দেশের জন্য সেরাটা দিতে মরিয়া। আমরা আন্ডারডগ ছিলাম এবং সবাই চাইছে, আমরা বড় টুর্নামেন্টে পারফর্ম করি। তরুণ ছেলেরা নিজেদের প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। ২ বছরে ২টি ফাইনাল খেলা নিঃসন্দেহে বড় বিষয়।’
♚এদিকে ফাইনালের আগে মহেশ থিকশানার চোট নিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শানাকা বলেছেন, ‘ওর চোট রয়েছে, ফাইনাল খেলতে পারবে না। তবে বিশ্বকাপে মনে হয় না কোনও সমস্যা হবে।’