নেপালের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ ২০২🐽৩-এর উদ্বোধনী ম্যাচে যেভাবে নিজের ভুলে রান-আউট হন মহম্মদ রিজওয়ান, কোনও কোচিং ক্যাম্পে শিক্ষানবিশ কোনও ব্🍒যাটার ওভাবে সাজঘরে ফিরলে কোচের কাছ থেকে শাস্তি পেতে হতো নিশ্চিত। পিচের অপর প্রান্তে থাকা বাবর আজমকে রিজওয়ানের আউট হওয়ার ধরণ দেখে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। রাগে নিজের টুপি ছুঁড়ে ফেলেন পাক দলনায়ক।
কীভাবে রান-আউট হন রিজওয়ান:-
প্রথম ইনিংসের ২৪তম ওভারে রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। ২৩.৪ ওভারে সন্দীপ লামিছানের বল কভার-পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে রান নিতে দৌড়ন রিজওয়ান। অনায়াসে 🦹পৌঁছে যেতেন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে। তবে ফিল্ডার দীপেন্দ্র সিং আইরির ছোঁড়া বলে চোট এড়ানোর দিকেই নজর ছিল রিজওয়ানের। তিনি ক্রিজে ব্যাট ঠেকানোর কথা বেমালুম ভুলে যান। আইরির ছোঁড়া বল সরাসরি স্টাম্পে গিয়ে লাগে। রিজওয়ান নিজেও তখন লাফানো অবস্থায় শূন্য ছিলেন, তাঁর ব্যাটও ছিল হাওয়ায়। ফলে ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিজওয়ানকে।
রোহিতের সরাসরি থ্রোয়ে রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ইমাম উল হক:-
রিজওয়ানের আগে রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন পাক ওপেনার ইমাম উল হক। ৪.৫ ওভারে সোমপাল কামির বলে গালি ফিল্ডারের হাত থেকে সহজ জীবনদান পান ইমাম। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ৬.১ ওভারে কামির বল কভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়েই এক রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন ইমাম। বল সরাসরি চলে যায় ফিল্ডার রোহিতের হাতে। তিনি সরাসরি থ্রোয়ে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন। ইমাম ক্রিজ থেকে অনেকটা বা𒅌ইরে ছিলেন। ফলে ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইমামকে।
বাবরের ক্যাচ ছাড়ার মাশুল দিতে হয় নেপালকে:-
নেপালের ফিল্ডাররা ২টি রান-আউট ছাড়াও আরও কয়েক দফায় সরাসরি বল স্টাম্পে ছুঁড়ে মারেন। তবে সার্বিকভাবে তাদের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ছিল জঘন্য। ইমাম ও বাবরের একটি করে ক্যাচ ছাড়েন নেপালের ফিল্ডাররা। মিসফিল্ডে সহজ সব বাউন্ডারি উপহার দেন তাঁরা। ওভার থ্রোয়ে রান উপহার দিতে দেখা♏ যায় নেপালের ফিল্ডারদের। এমন খারাপ ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান বড় রানের ইনিংস গড়ে তোলে।
ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির পরে (৫৫ রানের মাথায়) জীবনদান পান বাবর আজম। জীবনদান পাওয়ার পরে তিনি অনায়াসে টপকে যান শতরানের গণ্ডি। বাবর ব্যক্তিগত দেড়শ🦄ো রানের গণ্ডি পার করার সঙ্গে সঙ্গে দলকেও পার করান ৩০০ রানের গণ্ডি। বাবর ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৩১ বলে ১৫১ রান করে আউট হন। শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।