শুভব্রত মুখার্জি: বর্তমান পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিভা মহম্মদ রিজওয়ান। কিপার ব্যাটার এই ক্রিকেটার ব্যাটিং গ্লাভস হাতে যেমন দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তেমন কিপিং গ্লাভস হাতেও তাঁর পারফরম্যান্স বেশ ভালো। বাবর আজমের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ফর𒀰্ম্যাটের ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে জুটিতেও দেশকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। আইসিসি আয়োজিত ওয়ানডে বা টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ🐓্ধে পাকিস্তান জিতেছিল ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে। সেই জয়েও তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপের পরপরেই বাবর আজম জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন। তার পরে দলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দল নয়া ওপেনিং জুটিকে ট্রাই করেছে। সাইম আয়ুবের সঙ্গে রিজওয়ানের সেই জুটি এখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি। এমন আবহেই বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলেছেন রিজওয়ান। বিরাট কোহলির প্রসঙ্গ টেনে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, গড়পড়তা ক্রিকেটাররা ব্যাটিং গড় নিয়ে ভাবেন, বিরাটের মতন গ্রেটরা এই সব ভাবেন না।
টি-২০ এবং ওডিআই ফর্ম্যাটের সঙ্গে কী ভাবে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন এই প্রশ্নের উত্তরে রিজওয়ান ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘যে দলের হয়ে যখন প্রতিনিধিত্ব করছি, তখন তারা আমার রোলটা নির্দিষ্ট করে দেয়। সেই রোলটা পালন করাই আমার লক্ষ্য থাকে। অনেক সময়ে ♔হয় কী, কিছু কিছু ক্রিকেটার মনে করে, আগে আমাকে নিজেকে বাঁচাতে হবে। নিজের জায়গাটা ঠিক রাখতে হবে। তারা সেটা মাথাতে রেখেই খেলছে। ফলে আমি বলব, সেই সব ক্রিকেটাররা যারা নিজেদের ব্যাটিং গড় নিয়ে ভাবে, তারা খুবই গড়পড়তা ক্রিকেটার হয়। বিরাট কোহলিকে কোনও দিন দেখেছেন, নিজের ব্যাটিং গড় নিয়ে ভাবতে! ও ভাবে না, কারণ ও গ্রেট ক্রিকেটার। ও নিজের কাজটা ভালো ভাবে করে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই ওর ব্যাটিং গড় খুব ভালো। নিজের ব্যাটিং গড় সব সময়ে ও বেশ ভালো জায়গাতেই রেখেছে। বড় ক্রিকেটাররা নিজেদের ব্যক্তি রেকর্ডের দিকে কখনও তাকায় না। তারা কিন্তু তাকায় নিজেদের দলের স্বার্থের দিকে।’
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ু𝐆র বিরুদ্ধে ফের শতরান, ২০২৪-এই প্র🤪থম শ্রেণির ক্রিকেট মিলিয়ে চার সেঞ্চুরি পাডিক্কালের
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘দল আমাকে যা বলবে, আমি সেটাই মেনে চলব। আমার কাজ হবে, দলের স্বার্থ রক্ষা করা। দল যদি আমাকে বলে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাও এবং খেল। আমি সেটাই করব। টি-২০ ফর্ম্যাটে আমার কাজ হল, নতুন বলকে আক্রমণ করে খেলা। ওডিআই ফর্ম্যাটে আমার কাজ হল ২৫ ওভারের পর থেকে যখন বল পুরনো হয়ে যায়, তখন আক্রমণ করে খেলা। যেটা মোটেও সহজ কাজ নয়। এটা অনেকটাই মাইন্ড গেম বলা যায়।’ শাহিন শাহ আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিয়ে বলতে গিয়ে রিজওয়ান বলেছেন, ‘ও খুব ভালো অধিনায়ক। আমি ওকে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে দেখেছি। অন্য দলেও দেখেছি। যেখানে ওকে আমি আমার সতীর্থ হিসেবে পেয💙়েছি। ম্যাচ না শেষ হওয়া পর্যন্ত ও এমন একজন ব্যক্তি, যে হতাশ হয় না, হালꦜ ছাড়ে না।’